বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অপহরণের উদ্দেশ্যে বিরিয়ানীর সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে এক কলেজ ছাত্রীর পরিবারের ৪ সদস্যকে অচেতন করার অভিযোগে ইমন মোল্লা (২০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল হোতা উজ্জল ঢালীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, মোল্লাহাট উপজেলার পদ্মডাঙ্গা গ্রামের বলাই ঢালীর ছেলে উজ্জল ঢালী বছর খানেক ধরে ওই কলেজ ছাত্রীকে উত্তক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য প্রস্তাব পাঠালে কলেজ ছাত্রীর পরিবার অপরাগতা প্রকাশ করেন। ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার স্থানীয় শরিফুলের দোকানে হালখাতা অনুষ্ঠানে বাকি থাকা ১‘শ৪০ টাকা দিতে যায় ওই ছাত্রীর মা ও ছোট ভাই। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উজ্জল ঢালী ও তার সহযোগী ৫জন মিলে হালখাতার বিরিয়ানির সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ওই ছাত্রীর মায়ের হাতে খাবার দেন। বাড়িতে এসে খাবার খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন কলেজ ছাত্রীর বাবা ছাড়া পরিবারের সবাই। এসময় এক প্রতিবেশী গৃহ কর্তাকে খুঁজতে এসে ঘরের মধ্যে এলোমেলোভাবে পড়ে থাকা চারজনকে দেখতে পেয়ে কলেজছাত্রীর বাবাকে ফোন দিলে তিনি এসে পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। চারদিন পরে সুস্থ্য হয়ে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরে উজ্জল ঢালী, ইমন মোল্লাসহ ৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন কলেজ শিক্ষার্থীর বাবা। বুধবার ইমন মোল্লাকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে মোল্লাহাট থানা পুলিশ।
মোল্লাহাট থানার এসআই ঠাকুর দাস বলেন, আসামীদের ইচ্ছা ছিল চেতনানাশক খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তারা কলেজ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করবে। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে আমরা এক আসামীকে আটক করেছি।অন্য আসামীদেরও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।