চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে গরুমারা জাতীয় উদ্যান এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করায় বিপাকে পড়েন কলকাতার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। উত্তরবঙ্গে চলছে ‘ফেলুদা ফেরত’ ওয়েব সিরিজের শুটিং। জাতীয় উদ্যান এলাকায় শুটিং করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে যে অনুমতির প্রয়োজন ছিল, তা ছিল না সৃজিতের ‘ফেলুদা ফেরত’ টিমের কাছে। যার কারণে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শুটিং এবং বন বিভাগ ড্রোন নিয়ে নেয়।
চালসা রেঞ্জের পানঝোড়া বস্তি লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় চলছিল ফেলুদা ওয়েব সিরিজের শুটিং। পাশেই মূর্তি নদী। মূর্তির চড়েই ড্রোন উড়িয়ে চলছিল শুটিং। চড়ে দাঁড়িয়ে বাঙালির ‘নতুন ফেলুদা’ টোটা রায়চৌধুরি। জনপ্রিয় পরিচালকের শুটিং হচ্ছে শুনে অনেকেই এলাকায় হাজির হন। বনদপ্তরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। সৃজিতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ ওঠে।
ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শুটিং। কারণ নিয়মানুযায়ী, কোনও জাতীয় উদ্যান এবং উদ্যান-সংলগ্ন এলাকায় শুটিংয়ের জন্য বিশেষ অনুমতির দরকার হয়। উপরন্তু পশুপাখিদের নিরাপত্তার কারণে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করা যেহেতু নিষিদ্ধ সেসব এলাকায়, তাই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। কীভাবে নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ করতে পারেন তাঁর মতো জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত একজন পরিচালক? সেই বিতর্কের শিকার সৃজিত। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে বন আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও। কারণ, প্রথমটায় তারা শুটিং স্থলে গিয়ে দেখতে পেলেও কোনরকম আপত্তি করেননি। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জানা সত্ত্বেও কেন মানা করেননি শুটিং টিমকে? সে প্রশ্নও উঠছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জলপাইগুড়ির একজন গরুমারা বনাঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে শুটিং করায় জেলে যেতে হয়েছিল তাকে। ‘ফেলুদা ফেরত’ শুটিং বিভ্রাটে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফ থেকে কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।