বীমা কোম্পানিগুলো মানবকল্যাণ, উৎপাদন ও ঝুঁকিমুক্ত অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, তথ্যের অপ্রাপ্যতা বীমা গ্রাহকদের জন্য বড় সমস্যা। বীমা শিল্পে গ্রাহকদের আস্থার অভাব রয়েছে। কারণ তারা যতগুলো বীমা কিস্তি জমা দিয়েছে, তার সবগুলো কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আদৌ জমা হয়েছে কি না, সে ব্যাপরে অন্ধকারেই থেকে যায়। প্রতারণা থেকে বীমা গ্রাহকদের রক্ষা করতে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা প্রদান প্লাটফর্ম চালু করতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বীমা সংক্রান্ত ১৫তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে একটি ঐক্যবদ্ধ বার্তা প্রদান প্লাটফর্ম চালুর প্রক্রিয়া চলছে।
মিউনিক রি ইন্স্যুরেন্স এবং মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ৪২টি দেশের প্রায় চার শতাধিক বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স ডেভেলপমেন্ট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
মিউনিখ রি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান টমাস লোস্টার এবং মাইক্রো ইন্সুরেন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ডবল চেম্বারলিনও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বিআইএ সভাপতি শেখ কবির হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংগঠনের সহসভাপতি রুবানা হামিদ স্বাগত বক্তৃতা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য আমরা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এবং আপনারা জানেন আমরা বাংলাদেশের জন্য ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশকে জলবায়ু ঝুঁকি থেকে মুক্ত করে মানুষের জীবনমান যাতে উন্নত হয় সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাচ্ছি যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, যারা এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করেন তাদের অর্থিক ক্ষতি কীভাবে মেটানো যায় এবং তাদের জীবনকে কীভাবে নিরাপদ করা যায়। বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য তাদের জন্য বিশেষ বীমা স্কিম করে দেওয়া গেলে তারা অনেকটাই নিশ্চিত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, এই ধরনের বীমা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে সেটা একটা নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যেটা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত যে সমস্ত ঝুঁকি শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন ব-দ্বীপ অঞ্চল বা অন্যান্য দেশগুলোতে রয়েছে সে দেশের জনগণও লাভবান হবে।
সম্প্রতি কিছু দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সে ব্যবস্থা বাংলাদেশেও নেওয়া যেতে পারে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।