দেশের বিভিন্ন রুটে যাত্রীবাহী নৌযান আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে চলাচল করবে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রীবাহী নৌ-পরিবহন চলাচলের বিষয়ে ইতিবাচক জবাব দেন।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, নৌযান চলাচলের প্রস্তুতির বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সভার আয়োজন করা হবে।
কোরবানির ঈদে মানুষের চলাচল শিথিল হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত কিছুটা শিথিল হচ্ছে চলমান বিধিনিষেধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন। যাত্রীবাহী নৌ পরিবহন গণপরিবহনের মধ্যেই পড়েছে।
সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট পরিদর্শন শেষে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে। তারা লঞ্চ চলাচলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। যেহেতু এখন দেশে করোনার মহামারি চলছে, সেহেতু ঈদে লঞ্চ চলবে কিনা- তা মন্ত্রিপরিষদই সিদ্ধান্ত নেবে।
এ অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি হয়েছে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন। দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার।
এতে বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে ৩০ জুন এবং ৫ জুলাইয়ের দুটি স্মারকের সূত্র দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত মানুষের সার্বিক কার্যাবলী ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে ৩০ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর ৫ জুলাই এই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানো হয়। অর্থাৎ এবার ঈদ উপলক্ষে ৩০ জুনের প্রজ্ঞাপনে থাকা সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার।
তার মধ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সকল প্রকার যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল ও অভ্যন্তরীণ বিমান ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে বন্ধ থাকলেও নতুন প্রজ্ঞাপন অনুসারে তা শিথিল থাকছে ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত।