জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, একমাত্র জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে সুশাসন দিতে পারে। স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শাসনামলের চেয়ে জাতীয় পার্টির শাসনামলে দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সুশাসন ভোগ করেছে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উত্তরার বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহতাব উদ্দিন, বিকল্পধারা বাগেরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ হেমায়েত উদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান ও বাগেরহাট উপজেলা যুবধারার সভাপতি আবদুল মান্নান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় তাদের স্বাগত জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়া নেতাদের উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুর্নীতি এবং দলীয়করণের কারণে দেশে বৈষম্য বেড়েছে। বলা হয়, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আসলে বৈষম্য বেড়েছে। বৈষম্যের কারণে কিছু মানুষ লুটপাটের মাধ্যমে দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, বেগমপাড়ায় (কানাডা) বাংলাদেশিদের অট্টালিকা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্য ফেরেনি। বৈষম্য হচ্ছে স্বাধীনতার চেতনা পরিপন্থী। দেশের মানুষ সুশাসন চায়, ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ চায়। তাই দেশের মানুষের সামনে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে প্রত্যাশা জেগেছে। এ কারণেই প্রতিদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির পতাকাতলে সামিল হচ্ছেন।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, ২০২০ সাল শুধু মহামারি করোনাকাল নয়, ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতনের বছর। তিনি বলেন, চলন্ত বাসে নারী ধর্ষণের অপচেষ্টা আমাদের গণতন্ত্রের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। দেশে চরম অবক্ষয় চলছে, দেশের মানুষ ত্যক্ত-বিরক্ত। করোনকালে মানুষের জন্য চিকিৎসা নেই। দেশে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে সংগঠিত হচ্ছে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী মীর আবদুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম জয়নাল আবেদিন, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, মাখন সরকার, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক আজহার সরকার, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট মো. আবু তৈয়ব এবং নির্বাহী সদস্য শেখ সরোয়ার।