শেখ মাহতাব হোসেন:: ডুমুরিয়া খুলনা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে আলুর উৎপাদন বাড়লেও বছরের শেষের দিকে এসেও দাম কমছে না পুরোনো ও নতুন আলুর। অথচ অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে আলুর দাম একেবারে কমে যেত। খুলনা কাঁচাবাজার পাইকারি বাজারগুলোতে আলুর কেজি মানভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। তবে পাড়া-মহল্লার কোনো কোনো দোকানে দাম ৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বুধবার সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে আলুর উৎপাদন বাড়লেও বছরের শেষের দিকে এসেও দাম কমছে না পুরোনো ও নতুন আলুর। অথচ অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে আলুর দাম
একেবারে কমে যেত।
ডুমুরিয়া পাইকারি বাজারগুলোতে আলুর কেজি মানভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। যা খুচর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে। তবে পাড়া-মহল্লার কোনো কোনো দোকানে দাম ৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বুধবার সরেজমিনে ডুমুরিয়া বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)'র পণ্য মূল্য তালিকা অনুযায়ী, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। যা এক মাস আগেও ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অথচ এক বছর আগে বাজারে এই আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬ থেকে ২২ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসেবে অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বাজারে আলুর দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় আলু কম থাকায় সরকার দেড় মাসের জন্য আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। তবে আমদানি বন্ধ করায় কিছুদিন যাবত বাজারে এর দাম বেড়েছে। পাশাপাশি এখনও
পাইকারি বাজারগুলোতে নতুন আলু পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ হয়নি। সে কারণে নতুন ও পুরোনো দুই ধরনের আলুর দামই বাড়তি। দক্ষিণ ডুমুরিয়ায় এলাকার মুদি দোকানদার মেহেদী হাসান সৌরভ বলেন, পাইকারি বাজারে আলু কিনতে গিয়ে আড়তদারদের কাছ থেকে জানতে পারি, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আলু আমদানি বন্ধের পর থেকেই পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই থেকে তিন দিন আগে পাইকারি বাজারে আলুর দাম এ মাসের সর্বোচ্চ উঠেছিল প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। তবে সে তুলনায় মঙ্গলবার কিছুটা কমে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। বেশি দামে কেনায় আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে আমাদের মত ছোট ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হচ্ছে,
ক্রেতা কম পরিমাণে ক্রয় করছে। ফলে বিক্রিও কমে গেছে।
আঠারো মাইল , চুকনগর বাজার করতে এসে আলুর বাড়তি দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মোফাজ্জেল কবিরাজ নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, আমি গত মাসের শেষের দিকে ৫০ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। আজকে বাজারে এসে শুনি দাম ৭৫ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের না খেয়ে থাকতে হবে। ডিমের দাম বাড়ার পর যখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে দাম কমেছিল তখন ভেবেছিলাম নির্বাচনের আগে বাজারে আর কোনো কিছুর দাম বাড়বে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সরকারের চাইতেও বাজার সিন্ডিকেট অনেক বেশি শক্তিশালী। যে কারণে দাম কমাতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। মানুষ বর্তমান সমস্যা বাজার দর, এটা কমাতে পারলে দেশ থেকে একটা বড় সংকট কেটে যেত।সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র পণ্য মূল্য তালিকা অনুযায়ী, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। যা এক মাস আগেও ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অথচ এক বছর আগে বাজারে এই আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬ থেকে ২২ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসেবে অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
বাজারে আলুর দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় আলু কম থাকায় সরকার দেড় মাসের জন্য আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। তবে আমদানি বন্ধ করায় কিছুদিন যাবত বাজারে এর দাম বেড়েছে। পাশাপাশি এখনও পাইকারি বাজারগুলোতে নতুন আলু পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ হয়নি। সে কারণে নতুন ও পুরোনো দুই ধরনের আলুর দামই বাড়তি।
দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার মুদি দোকানদার মেহেদী হাসান সৌরভ বলেন, পাইকারি বাজারে আলু কিনতে গিয়ে আড়তদারদের কাছ থেকে জানতে পারি, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আলু আমদানি বন্ধের পর থেকেই পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই থেকে তিন দিন আগে পাইকারি বাজারে আলুর দাম এ মাসের সর্বোচ্চ উঠেছিল প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। তবে সে তুলনায় মঙ্গলবার কিছুটা কমে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। বেশি দামে কেনায় আমরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে আমাদের মত ছোট ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হচ্ছে, ক্রেতা কম পরিমাণে ক্রয় করছে। ফলে বিক্রিও কমে গেছে।
খিলগাঁও রেলগেটে বাজার করতে এসে আলুর বাড়তি দাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসাবোর বাসিন্দা সোলাইমান সবুজ নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, আমি গত মাসের শেষের দিকে ৫০ টাকা কেজিতে আলু কিনেছি। আজকে বাজারে এসে শুনি দাম ৭৫ টাকা। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের না খেয়ে থাকতে হবে। ডিমের দাম বাড়ার পর যখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে দাম কমেছিল তখন ভেবেছিলাম নির্বাচনের আগে বাজারে আর কোনো কিছুর দাম বাড়বে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সরকারের চাইতেও বাজার সিন্ডিকেট অনেক বেশি শক্তিশালী। যে কারণে দাম কমাতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। মানুষ বর্তমান সমস্যা বাজার দর, এটা কমাতে পারলে দেশ থেকে একটা বড় সংকট কেটে যেত।