চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ স্কুলপড়ুয়া ভাতিজীকে ধর্ষণ করে তার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে সজল মিয়া (২৫) নামে লম্পট চাচা। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামে গত ১ আগস্ট ঘটলেও এতদিন বিষয়টি জানা যায়নি।
সজল ওই গ্রামের আওয়াল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় গত ৯ আগস্ট ওই থানায় মামলা হলেও তাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, বখাটে সজলের উত্ত্যক্তের কারণে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। সজল সম্পর্কে ওই স্কুলছাত্রীর চাচা হয়। গত ১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে সজল একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সামছুল হককে (২৪) নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় সামছুল তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এক পর্যায়ে সজল ও সামছুলের সঙ্গে ওই ছাত্রীর ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সামছুল পালিয়ে যায়। তবে সজলকে আটক করা হয়।
খবর পেয়ে সজলের বাবা আওয়াল মিয়া ও মা রেজিয়া বেগম সেখানে এসে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ের ব্যবস্থা না করে ‘এক সময় ছেলেরা এমন কাজ করেই থাকে, এটা কোনো বিষয় না’ বলে জানিয়ে দেয় তারা। এরপর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, ওই ছেলেকে আটক করার পর বিয়ের আশ্বাস পেয়ে না ছেড়ে যদি আমাদের কাছে সোপর্দ করত তাহলে এই সমস্যা হতো না।