ভারতে কুম্ভমেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে লাখ লাখ পুণ্যার্থী অংশ নেয়ায় প্রতিদিন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এপর্যন্ত প্রায় দুই হাজার শনাক্ত ও এক সাধু মারা গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রতীকী কুম্ভমেলা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রতিদিনই করোনা শনাক্তে রেকর্ড গড়ছে ভারত। এমন পরিস্থিতিতেও থেমে নেই দেশটির উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে কুম্ভমেলায় আগত পুণ্যার্থীদের ঢল। এতে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার পুণ্যার্থী ও ৮০ জন সাধু। আক্রান্ত শনাক্তে প্রতিদিন বিভিন্ন আখড়ায় চলছে করোনা টেস্ট। কুম্ভমলায় অংশ নেয়া পুণ্যার্থীদের অনেকেরই শনাক্ত হচ্ছে করোনা।
মাস্ক না পরেই লাখ লাখ পুণ্যার্থী অংশ নিচ্ছেন পুণ্যস্নানে। মানা হচ্ছে না কোনো রকম সামাজিক দূরত্ব। তারপরও এখানে আসার ব্যাপারে আগ্রহের কমতি নেই ভক্তদের। তারা বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ভয় ছিল, তবে আমরা অনেক সতর্কভাবেই পুণ্যস্নানে অংশ নিয়েছিলাম। বাড়িতে যতটা সাবধানে থাকতাম, এখানে এসে তার চেয়ে অনেক বেশি সাবধানতা অবলম্বন করেছি আমরা।’
করোনার এই সময়ে কুম্ভমেলার আয়োজন ঠিক হয়নি বলছেন মেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। কুম্ভমেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অর্জুন সিং সেঙ্গার বলেন, ‘করোনা মহামারিতে কুম্ভমেলা আয়োজন করা একেবারেই ঠিক হয়নি। যেখানে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা এবং জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বারবারই এমন বড় জমায়েত না করতে সতর্ক করে আসছিল।’
এখনো প্রতিদিনই ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আসছেন কুম্ভমেলায়। আগামী ২৭ এপ্রিল শেষ পুণ্যস্নানে অন্তত ২০ থেকে ৩০ লাখ মানুষ অংশ নিতে পারেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটবার্তায় করোনার বিপর্যস্ত সময়ে কুম্ভমেলা প্রতীকীভাবে হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার। দেশটিতে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখের বেশি।