চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনার দিঘলিয়া-আড়–য়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের প্রথম কিলোমিটারে ভৈরব নদীর ওপর ৬১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্প গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন মিলেছে। যার মোট দের্ঘ্য হবে ১৩১৬ দশমিক ৯৬ মিটার। এর পাশাপাশি আরও আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। ভৈরবসহ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা; যার পুরোটাই সরকার বহন করবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানা গেছে, জেলার দিঘলিয়া উপজেলা নদী বেষ্ঠিত ব-দ্বীপ এবং ইউনিয়নগুলো নদী দ্বারা বিছিন্ন। তিনটি ইউনিয়ন ভৈরব নদীর পূর্বে পাড়ে অবস্থিত, দু’টি ইউনিয়ন পশ্চিম পাড়ে এবং গাজীরহাট ইউনিয়ন আতাই নদী দ্বারা বিভক্ত। ফলে অধিকাংশ লোকের কর্মসংস্থান ও চাষাবাদের জন্য প্রতিনিয়ত পশ্চিম পাড়ে পারাপার হতে হয়। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএল কলেজে বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী লেখাপড়ার জন্য রোজ যাতায়াত করে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে এসেছে এলাকাবাসী। এ দাবির প্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রকল্প প্রস্তাব প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পে রয়েছে, ১৩১৬ দশমিক ৯৬ মিটার সেতু, এক কিলোমিটার এপ্রোচ রোড, দুই পাশে ৫ মিটার করে ১০ মিটার সার্ভিস রোড এবং ডিভাইডার নির্মাণ।
খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম জানান, আগামী ৪ বছরের মধ্যে এ সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তবে সেতুটি নির্মাণ হলে ওই এলাকায় শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে, পূর্বে প্রতিষ্ঠিত জুট মিলগুলো চাঙ্গা হবে। ফলে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এছাড়া ঢাকার সাথে একটি কানেক্টিভিটি তৈরি হবে।
উল্লেখ, সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকাসহ ৯ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।