ডুমুরিয়া (খুলনা)সোয়াবিন জাতী ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
প্রনোদনা বাড়লে এ ফসলের আবাদ আরো বাড়বে বলে ধারণা কৃষকদের। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে এখন চোখ জুড়ানো হলুদ ফুলের সমারোহ। সেই সাথে বাতাসে ভাসছে মো মো মিষ্টি ঝাঁঝাঁলো ফুলের ঘ্রাণ। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মৌসুমে উপজেলার কৃষি অফিস সরিষা চাষে সার, বীজ প্রণোদনা দেয়ায় গতবছরের তুলনায় এ বছর সরিষা চাষ অনেক বেড়েছে। ইতিপূর্বে আমন কাটার পর যে সব জমি বোরো লাগানোর অপেক্ষায় পতিত থাকতো সে সব অনেক জমি এখন সরিষা ফুলে সুশোভিত।
সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় আনন্দের হাসি হাসছে এলাকার কৃষকেরা। সরিষার ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা গ্রামের কৃষক শেখ মন্জুর রহমান,আটলিয়া গ্রামের কৃষক নবদ্বীপ, টিপনা গ্রামের পরিতোষ,পরিমল, ওয়াসিম জানান, কয়েক বছর আগেও তাদের যে জমি পতিত থাকতো বর্তমানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারীদের সহযোগিতায় সে সব জমিতে তারা সরিষা চাষে ঝুঁকেছে। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, বারী-১৪ জাতের সরিষার ফলন বেশী, সময়ও লাগে কম। এতে করে এসব জমিতে সরিষা উঠিয়ে সহজেই বোরো চাষ করা যায়। আর তখন সারও কম প্রযোগ করতে হয়। এফসল আবাদের জন্য প্রথমে জমি হালকা ভাবে চাষ করে তাতে বীজ বপন করতে হয়।
প্রযোজনে দু-তিন বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়।
ডুমুরিয়া উপজেলা এস এ পিপিও কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সন্জয় দেবনাথ বলেন চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়া ও যথাযথ পরিচর্যার কারণে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মসুচির অংশ হিসাবে দেশে ভোজ্য তেলের স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জনে আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করছি। তিনি বলেন চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১শত ৬৫হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে সরিষা চাষ করা হচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় তিন’শ হেক্টর বেশী। চলতি মৌসুমে সরিষা চাষে প্রণোদনার আওতায় উপজেলার ৮ শত কেজি কৃষককে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।