৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। প্রথম দফায় রওনা হচ্ছে বাংলাদেশ টেস্ট দল। মুমিনুল হকের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াড ঢাকা ছাড়বে মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টায়।
শুরুতে ১৭ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করা হলেও পরে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের চোট-শঙ্কায় দলে যোগ করা হয় মাহমুদউল্লাহকে। বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়ার প্রায় ১৬ মাস পর টেস্ট দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
ঢাকা থেকে একসঙ্গে রওনা হচ্ছেন অবশ্য ১৭ জনই। সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র থেকে জিম্বাবুয়েতে সরাসরি যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।
ছুটিতে থাকা কোচিং স্টাফের সদস্যরা নিজ নিজ দেশ থেকে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। সদ্য নিয়োগ পাওয়া স্পিন বোলিং পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গে দলের দেখা হবে কাতারের দোহায় ট্রানজিটে।
দলের সঙ্গে একজন করে বোর্ড পরিচালককে ‘টিম লিডার’ হিসেবে পাঠানোর যে ধারা এ বছরের শুরু থেকে শুরু করেছে বোর্ড, সেই ধারাবাহিকতায় এবার যাচ্ছেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম।
জিম্বাবুয়েতে একমাত্র টেস্ট শুরু আগামী ৭ জুলাই। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু ১৬ জুলাই, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২৩ জুলাই। সব ম্যাচই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে।
ওয়ানডে স্কোয়াডের যারা টেস্ট স্কোয়াডে নেই, তারা ঢাকা ছাড়বেন ৯ জুলাই। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের অন্যরা যাবেন ১৬ জুলাই।
ঢাকা থেকে লম্বা ভ্রমণের পর হারারেতে মাত্র এক দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাংলাদেশ দলকে। এরপর জৈব-সুরক্ষা বলয়ে হবে সিরিজ। সম্প্রতি ঢাকা লিগেও হোটেল ও মাঠের সুরক্ষা বলয়ে থেকে খেলতে হয়েছে ক্রিকেটারদের।
জিম্বাবুয়েতে এবার দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও পাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী শনি ও রোববার হবে দুই দিনের ম্যাচ, যেটির প্রতিপক্ষ ঠিক হয়নি এখনও। ওয়ানডে সিরিজের আগে একটি একদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ১৪ জুলাই।
সবশেষ ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পিছিয়ে পড়ার পর ড্র করতে পেরেছিল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দল, হেরেছিল ওয়ানডে সিরিজে। এরপর থেকে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩২ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল, সবকটিই বাংলাদেশে। তাতে জিম্বাবুয়ে জিততে পেরেছে কেবল চার ম্যাচ। ১৬ ওয়ানডের সবকটি জিতেছে বাংলাদেশে, ৬ টেস্টে হেরেছে একটি, ১০ টি-টোয়েন্টিতে হার তিনটিতে।
জিম্বাবুয়ে সফরের দল:
টেস্ট স্কোয়াড: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলি চৌধুরি, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরি, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও শরিফুল ইসলাম।
ওয়ানডে স্কোয়াড: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।