সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
মাগুরার পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে আর্থিক দূর্ণীতির অভিযোগ, রেহাই পাননি সুইপার আয়া | চ্যানেল খুলনা

মাগুরার পিটিআই সুপারের বিরুদ্ধে আর্থিক দূর্ণীতির অভিযোগ, রেহাই পাননি সুইপার আয়া

মাগুরা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট(পিটিআই) এর সুপার মোসাঃ শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে সরকারী আদেশ অমান্যসহ অনিয়ম দুর্ণীতি ও ভুয়াবিল ভাউচার তৈরী করে অর্থ হাতিয়ে সীমাহীন দূর্ণীতি করেছেন মর্মে অভিযোগ উঠেছে। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি সুইপার প্রশান্ত ও আয়া ছাবিনা খাতুনের বেতনের টাকাও । বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কয়েকদিন আগে মানববন্ধন করেছে স্কুলের অবিভাবকরা।

পিটিআই স্কুলের একজন অবিভাবক সদস্য রাশিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ২০১৯ সালে শাহিদা খাতুন মাগুরা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর সুপার পদে যোগদান করলেও তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ত্রিশ বছর একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার সুবাদে অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের সকল পথ তার জানা ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুপার শাহিদা খাতুন গড়ে তুলেছে সম্পদের পাহাড়। অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকায় নামে বেনামে মাগুরা শহরে একাধিক জমি ও বাড়ি, ঝিনাইদহ শহরে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এবং ঢাকার উত্তরায় বিলাস বহুল ফ্লাট কিনেছেন সুপার শাহিদা।

অতি সম্প্রতি সুপার শাহিদা খাতুনের নামে অনৈতিক ভাবে যে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পিটিআই সুপারের জন্য নির্ধারিত (ইন টাইটেল) বাসভবনে না থেকে ভায়না পৌর গোরস্থান রোডে পাঁচ শতক জমির উপর (সততা প্যালেস নামে) দুইতলা ভবন নির্মান করে নিজ বাড়িতেই থাকেন তিনি। সুপার শাহিদা খাতুন তার নিজ বাড়িটি ভাড়া দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ার টাকা বাবদ প্রায় আট লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পুরানো মেহেগনি ও কাঠাল গাছ টেন্ডার ও টেন্ডার বর্হিভুত ভাবে প্রায় ১০লাখ টাকার গাছ কেটে আত্মসাৎ করেছেন। সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পরীক্ষন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তিতে কোন প্রকার ভর্তি ফি নেয়ার কথা না থাকলেও পিটিআই সুপার শাহিদা খাতুন প্রতি বছর প্রতি ছাত্রের নিকট থেকে ৩৯০ টাকা হারে ভর্তি ফি বাবদ গড়ে প্রায় পাঁচশো ত্রিশ জন ছাত্রের কাছ থেকে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা হারে চার বছরে প্রায় আট লাখ টাকা কোন প্রকার রশিদ ছাড়া বাধ্যতামুলক ভাবে অভিভাবকদের নিকট থেকে আদায় করেন। পিটিআই সুপারের যাতায়াতের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গাড়ির ব্যবস্থা আছে। এ গাড়ি বাবদ জ্বালানি ও সকল মেইন্টেনেন্স খরচ বাবদ নিদিষ্ট বরাদ্দ থাকার পরও তিনি ভুয়া টিএ বিল ভাউচার তৈরী করে ৪ বছরে প্রায় আট লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

করোনাকালীন সময়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পরীক্ষন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারীভাবে ওয়ার্কশীট প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও প্রতি ছাত্রের নিকট থেকে অর্থ আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও পরীক্ষন বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কোন অর্থ না নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও প্রতি শ্রেণীতে ভর্তি বাবদ চার বছরে পিটিআই সুপার শাহিদা খাতুন আট লাখ সাতাশ হাজার টাকা আদায় করে আতœসাৎ করেছেন। অর্থলোভী শাহিদা খাতুন এখানেই থেমে থাকেনি পরীক্ষন বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান না করে বরাদ্দকৃত অর্থ উঠিয়ে তা আতœসাৎ করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের নিকট থেকে নিয়ম বর্হিভুতভাবে অর্থ আদায়, নি¤œ মানের খাবার পরিবেশনসহ নানা অনিয়মের ব্যাপারে সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

তথ্যঅনুসন্ধানে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু কর্ণার নির্মান ব্যায় বাবদ অর্থ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণারে বই ক্রয় না করে তার মেয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া ছেড়া কাটা বই এনে সাজিয়ে রেখেছিল। এবং বই কেনা বাবদ অর্থ উত্তোলন করে বই না কিনে তিনি তা আতœসাৎ করেছেন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে মেয়ের পুরুস্কারপ্রাপ্ত বই রাখার অভিযোগ উঠায় গত (১৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধু কর্নার থেকে বিশ্ব-বিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে শরন ও পিটিআই সহ সুপার মোঃ আলী আহসান কে সংঙ্গে করে বই গুলো সরিয়ে নিয়ে যান। পরীক্ষন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বই নিয়ে যাবার কারন জানতে চাইলে তাদেরকে চুপ থাকার জন্য সুপার শাহিদা খাতুন ধমক প্রদান করেন, একই সাথে বিষয়টি জানাজানি হলে বদলির হুমকি দেন।

মাগুরা পিটিআই সুপারের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত ইনটাইটেল বাসভবনটি পরিত্যক্ত বলে বর্তমান সুপার শাহিদা খাতুন দাবি করলেও ২০১৯ সালে অবসরে যাওয়া সুপার বাদল চন্দ্র জানান, আমি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের সুপার পদে কর্মরত ছিলাম। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সরকারী কোন বাসভবন না থাকলেও পিটিআই সুপারের ইনটাইটেল বাসা আছে, যেখানে বসবাস করার সরকারী ভাবে নির্দেশনা রয়েছে। সরকারী নির্দেশনা মেনে আমি অবসরে আসার দিন পর্যন্ত পিটিআই সরকারী বাসভবনেই বসবাস করেছি। আমি অবসরে আসার পর সুপারের বাসভনটি আরো আধুনিকায়ন করা হয়েছে বলে শুনেছি।
মাগুরা পিটিআই সুপারের ইনটাইটেল বাসভবন সম্পর্কে পিটিআইয়ের বর্তমান নৈশ্য প্রহরী রতন মিয়া জানান, ভবনটির দুইতলায় সম্পূর্ন টাইলস করা এবং দুটি রুমে এসি বসানো আছে আমি ছয় মাস কাজে যোগ দিলেও এখানে কাউকে থাকতে দেখিনি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মাগুরা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর ইন্সট্রাক্টরদের প্রশিক্ষন বিদ্যালয় পরিদর্শনের নিমিত্তে ৮ টি মোটর সাইকেল বরাদ্দের পাশাপাশি পরিবহন ব্যয় (ঢাকা থেকে মাগুরা আনায়ন) বাবদ মাগুরা পিটিআই সুপারের অনুকুলে পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করেন। কিন্তু সুপার শাহিদা খাতুন ঢাকা থেকে মাগুরায় মোটর সাইকেল আনায়ন বাবদ বরাদ্দকৃত সমুদয় টাকা আতœসাৎ করেন। বরাদ্দকৃত ৮টি মোটর সাইকেল গ্রহনে ইচ্ছুক ইন্সট্রাক্টরদের নিজ খরচে বিশ হাজার টাকা ব্যয় করে অধিদপ্তর থেকে মোটর সাইকেল গুলি মাগুরায় নিয়ে আসেন। যা তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
মাগুরা পিটিআই চত্বরে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণকল্পে গাছ ক্রয় টেন্ডারে অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীর রাশিদুল ইসলাম ফার্ম এর কর্ণধর মীর রাশিদুল ইসলাম সুমন জানান, ২০২১ সালে সরকারী টেন্ডারের মাধ্যমে আমি ১১ টি গাছের নিলাম ক্রয়ে অংশ গ্রহন করি। সেখানে ১১টি গাছের বাইরেও একই সাইজের আরো আনেক গাছ ছিল। সেগুলি নিলাম ছাড়াই পিটিআই সুপার বিক্রয় করেছেন।

পিটিআই স্কুল সংলগ্ন প্রতিবেশি খলিলুর রহমান বলেন, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পিটিআই সুপার শাহিদা খাতুন মুল্যবান মেহেগুনি,কাঁঠালসহ বেশকিছু গাছ বিক্রয় করে নিয়েছে। প্রথমে বিক্রিত কয়েকটি গাছ সরকারী টেন্ডারে হলেও পরে যে গাছ গুলি কেটে বিক্রি করা হয়েছে তার কোন টেন্ডার ছিল না বলে গাছ কাটার কাজে অংশ নেয়া শ্রমিকদের থেকে জেনেছি।

সম্প্রতি সুপারের বিরুদ্ধে ভর্তি ফি ও ওয়ার্কশিট বাবদ অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠায় কিছু কিছু অভিভাবকদের মুখ বন্ধ করতে পরীক্ষন বিদ্যালয়ের শ্রেণী শিক্ষকদের মাধ্যমে ভর্তি ফি বাবদ অর্থ ফেরত প্রদান করে তাদের স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

সুইপার প্রশান্ত জানান, আমি ৩০ বছর ধরে পিটিআই স্কুলে সুইপারের কাজ করি। এত বছরে সব স্যার অল্প অল্প করে আমার বেতন বাড়ালেও বর্তমান সুপার শাহিদা ম্যাডাম যোগদানের পর থেকে আমার বেতন ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করেছে। তবে চলতি মাস থেকে আবারও ৫ হাজার টাকা করেই দিচ্ছে। গত তিন বছরে দুই হাজার টাকা করে কম দেয়ার কারনে আমার সংসার চালিয়ে যেতে কষ্ট হয়েছে।

নৈশ প্রহরী শামীম জানান, ১৩ হাজার টাকার বেতনশীটে স্বাক্ষর করিয়ে বেতন উত্তোলন করলেও আমাকে দেয়া হতো ১১ হাজার টাকা। বিষয়টি সুপার মেডামকে প্রশ্ন করার কারনে তিনি আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে চাকুরি থেকে বাদ দিয়েছেন।

পিটিআই পরিক্ষন বিদ্যালয়ের আয়া ছাবিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার বেতন বাইশশত টাকা, আমি স্বাক্ষর করি বাইশশত টাকায় কিন্তু সুপার ম্যাডাম আমাকে দেন সতেরশো টাকা। এ বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় সুপার ম্যাডাম আমাকে বেতন বাড়িয়ে পঁচিশশো টাকা করা হবে এবং দুই ঈদে বোনাস এর ব্যবস্থা করে দিবে বলে লোভ দেখিয়েছেন। এবং আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছেন আমি যেন কাউকে বেতন এর বিষয়ে না বলি। যদি বলে দিই তাহলে তোমার চাকুরি থাকবে না।

সুপার শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অবিভাবক সদস্য রাশিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার ভাল মানের জন্য মাগুরা পিটিআই স্কুলের সুনাম রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতির কারনে এ প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন হতে থাকায় একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নৈতিকতার জায়গা থেকে এবং শিক্ষার পরিবেশ যাতে ফিরিয়ে আনা যায় এ কারনেই আমি সুপার শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে তার অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে বিভন্ন দ্প্তরে অভিযোগ করেছি। যার ফলে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে পুলিশি হয়রানি করছেন।

মাগুরা প্রাইমারী টির্চাস ট্রেনিং স্কুলের সহ-সুপার আলী আহসান জানান, সুপার ম্যাডাম পরীক্ষন বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও তার বই ক্রয় বাবদ আমাদের নিকট থেকে বিলে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন কিন্তু সে বই তিনি বঙ্গবন্ধু কর্ণারে জমা দেননি।

নানা অনিয়ম দুর্ণীতির বিষয়ে পিটিআই সুপার শাহিদা খাতুনের কাছে সরেজমিনে তার অফিস কক্ষে গিয়ে জানতে চাইলে এ সকল অভিযোগের বিষয়ে তিনি এই প্রতিবেদকের সাথে কোন কথা বলবেন না বলে দ্রুত তার কক্ষ ত্যাগ করে চলে যান।

সুপার শাহিদা খাতুনের অনিয়ম দূর্ণীতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসলেম উদ্দিন জানান, মাগুরা পিটিআই খুলনা বিভাগের মধ্যে একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি পিটিআই এর সুপার শাহিদা খাতুন এর এহেনো কর্মকান্ডে সে সুনাম ক্ষুন্ন হতে বসেছে। বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পর আমার উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

https://channelkhulna.tv/

মাগুরা আরও সংবাদ

মাগুরায় যৌথবাহিনীর অভিযান: মহাসড়কে যানবাহন ব্যাপক তল্লাশি

পলিথিন মুক্ত করতে মাগুরায় বিনা মূল্যে কাপড়ের ব্যাগ বিতরণ

মধ্যরাতে মাগুরায় সেনাবাহিনীর তল্লাশি অভিযান

মাগুরা প্রেসক্লাবে নতুন ৩ জন কে আজীবন সদস্য প্রদান

বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদেরকে হত্যা করা হয়েছে : শফিকুর রহমান

স্বৈরাচার পতন হলেও চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যায় নাই : মুফতি ফয়জুল করীম

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।