মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ছোনগাছা গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে আনার চেষ্টাকালে গনপিটুনিতে গুরতর আহত রাসেল শেখ নামে এক যুবকের ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে মন্জুরুল জোয়াদ্দার ও রাজু মৃধা নামে আরো ২ যুবক। নিহত রাসেল একই উপজেলার বরিশাট গ্রামের জলিল শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর দাদী জানান, বরিশাট গ্রামের আজাদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে মঞ্জুরুল তার নাতনীকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। যার ফলে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। আজ বুধবার আমার নাতনীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে দুইটি মটরসাইকেল যোগে মঞ্জুরুল ও তার সহযোগী রাসেল শেখ, রাজু মৃধা, লিমন মৃধা ও সিয়াম উদ্দিন কে সাথে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে আমার নাতনীকে জোর পূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
নিহত রাসেলের চাচা আলী হাসান জানান, তার ভাতিজা রাসেলের বন্ধু মঞ্জুরুলের সাথে ছোনগাছা গ্রামের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজ মেয়েটির বিয়ে হবে এমন খবরে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মঞ্জুরুলের সাথে রাসেল সহ আরো কয়েকজন বন্ধু মেয়েটির বাড়িতে যায়। এসময় মেয়েটির পরিবারের লোকজন তাদেরকে ধরে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়। আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
মাগুরা শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার ছোনগাছা গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেম ঘটিত কারনে কয়েকজন যুবক জোর পূর্বক তুলে আনার চেষ্টা করে। ছাত্রীর মায়ের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসি ছুটে এসে ওই যুবকদের ধরে বেধড়ক লাঠি পেটা করে। পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে রাসেল শেখের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১১টায় রাসেলের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে রাসেলের লাশ নিয়ে পরিবারের স্বজনরা ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রীতিকর কোন ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।