মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরা সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটিতে অ-ছাত্র দিয়ে কমিটি গঠন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই কমিটি প্রকাশের পর কমিটির অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা দিয়েছে।
লিখিত অভিযোগে যুগ্ন-আহবায়ক (৪) মো: মহিদুুল ইসলাম জানান, ৩১-০৮-২০২০ ইং তারিখে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম ও সাধারন সম্পাদক আবু তাহের সবুজ সাক্ষরিত কলেজ ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটির আহবায়ক টিপু সুলতান ও যুগ্ন- আহবায়ক জুলফিকার আলী অ-ছাত্র হওয়ায় তাদেরকে দিয়ে একুশ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোসনা করে।
অভিযোগে আরো জানাযায়, সরকারী কলেজের অধ্যাক্ষ স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্রে টিপু সুলতান ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষে স্নাতক (প্রাইভেট) কোর্সে ভর্তি হয় যাহার রেজি: নং- ১৬১০২০২৪৬১৯। ও জুলফিকার আলী ২০১৪-১৫ শিক্ষা বর্ষে স্নাতক সম্মান (দর্শন) বিভাগের ছাত্র ছিল, যার রেজি: নং- ১৪২১৭০৩০৭৩৬। প্রথম বর্ষ পরীক্ষার পর আর কোন ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি। যার কারনে উভয় জন ই ড্রপ আউট শিক্ষার্থী হিসাবে অধ্যাক্ষ স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র কলেজ থেকে প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগ কারীদের দাবী, বি,এন,পির এই দূর্দিনে মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক তাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তাদেরকে দিয়ে নব গঠিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও যুগ্ন-আহবায়ক (২) মো: মহব্বত আলীর বিরূদ্ধে যুবলীগ করার তথ্য প্রমাণাদি পাওয়া গেছে। দলের এই ক্রান্তি লগ্নে মাগুরা জেলা ছাত্রদলের ১১ বছর যাবত সরকারী কলেজে কোন কমিটি ছিল না। বর্তমানে ছাত্রলীগের হামলা মামলা দমন নির্যাতনের শিকার হয়েও যারা দলের জন্য নিবেদিত কর্মি হিসাবে কাজ করেছে তাদের কোন মূল্যায়ন করা হয়নি। দেড় বছর আগে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিতর্কিত একটি কমিটি দিয়েছিল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক। বিষয়টি একাধিক পত্র- পত্রিকায় অর্থের বিনিময়ে কমিটি গঠন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় কমিটি গঠনের তৃত্বীয় দিনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারন সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু বিতর্কিত কমিটি ভেঙে দেয়।
এই সভাপতি সাধারন সম্পাদক ঘাপটি মেরে থেকে ১ বছর পরে আবারও সরকারী কলেজে বিতর্কিত কমিটি ঘোসনা করেছে। যার ফলে সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক, মহিদুল ইসলাম, রিমন শেখ, জুবায়ের হোসেন হিরক, কমিটির সদস্য, সোহানুর রহমান, মোফাজ্জেল হোসেন, হাবিবুর রহমান, রিফাত আহমেদ তাজমুল, নাইম ইসলাম, সৌরভ হোসেন, মাহামুদুল হাসান, এই কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় অনাস্থা ও অব্যাহতি পত্র প্রদান করেছে।
এই ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, কিভাবে এরা কমিটিতে ঢুকলো কেনই বা এগারো জন সদস্য অনাস্থা দিলো কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে দ্রুত সময়ে মিটিং আহবান করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।