
তার বাড়ীর আঙ্গীনায় চাষ করা ৩৫ কেজি ওজনের মুন্সীআলু (আঞ্চলিক নাম) মঙ্গলবার বিকেলে ইছাখাদা বাজারে আলুটি বিক্রির জন্য আনলে ফরিদপুর থেকে আসা পাইকারী সবজি ব্যবসায়ী তপন বিশ্বাস ৩০ টাকা দরে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা দিয়ে আলুটি কিনে নেন। এসময় আলুটি দেখতে ইছাখাদা বাজারে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়। আলুটি দেখে তারা বিষ্ময় প্রকাশ করে।
মীর আজাদ জানান, আমি ২ বছর আগে পাশের গ্রাম নড়িহাটির কৃষক ওয়াজেদ আলীর কাছ থেকে মুন্সীআলুর একটি বীজ এনে বাড়ীর আঙ্গীনায় রোপন করি। প্রথম বছরে সেই আলুটির ওজন হয় ২২ কেজি। যা পাড়া প্রতিবেশির মধ্যে বিলি করে দেই। এরপর গতবছর পুনরায় ঐ আলু থেকে ৪ টি বীজ রোপন করি যা থেকে আজ দুপুরে ১ টি আলু তুলেছি। যার ওজন হয়েছে ৩৫ কেজি। আলুটি বিক্রি করে আমি খুবই খুশি হয়েছি।
ইছাখাদা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী কাজী সাইফুল ইসলাম জানান, আলুটি দেখে হতবাক হয়েছি। এতোবড় আলু আমি আগে কখনো দেখিনি।
আলু ক্রেতা তপন বিশ্বাস জানান, এধরনের আলু খুবই কম দেখা যায়। আমি এটা পাইকারি ৩০ টাকা কেজি দরে কিনেছি। ফরিদপুরে নিয়ে যাবো। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ জানান, সাধারণত এ ধরনের আলু পতিত জমিতে বা বাড়ির আঙিনায় দেখা যায়। বৈশাখ মাসে এ আলুর বীজ রোপন করতে হয়। মাটির নিচে হওয়া এ আলু চাষে তেমন কোন খরচ হয়না। এক বছর বা এর অধিক সময়ের ব্যবধানে এ আলুর ওজন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ কেজিও হয়ে থাকে।