চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর সংলগ্ন পাওয়ার হাউস এর কাছে দু’টি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় তিন গাড়ির ১২ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মস্তফাপুর এলাকার পাওয়ার হাউস সংলগ্ন সড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা রেখে পোড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেগুলো পোড়ানোর সময় ধোঁয়ায় পুরো সড়ক ঢেকে যায়। এ সময় বরিশালগামী একটি তেলবাহী ট্রাকের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মিনিট খানেকের মাথায় ভুরঘাটা থেকে ছেড়ে আসা আরও একটি ট্রাকের সাথে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দু’টির সংঘর্ষ হয়। তবে প্রাইভেটকারে এক অংশে আগুন লাগলেও স্থানীয়রা সেটা নিভাতে সক্ষম হয়।
এ সময় তিনটি পরিবহনের ১২ জন যাত্রী আহত হয়। দুর্ঘটনা খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ১ঘন্টা চেস্টায় পানি দিয়ে সড়কের পাশের আগুন নিভিয়ে ফেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, পৌরসভার ময়লা কেন আমাদের গ্রামে ফেলে প্রায় ৬মাস যাবত মহাসড়কের পাশে দুর্গন্তযুক্ত ময়লা ফেলে, তাছাড়া যখন আগুন দেয় তখন আমরা এলাকাবাসীরা বাড়িতে থাকতে পারি না ধোয়ার কারণে। আমাদের সন্তানদের বিভিন্ন সমস্যা হয়। আজ যদি তৈলের গাড়ীতে আগুন লাগতো পাশে বিদ্যুৎ অফিসের পাওয়ার হাউজ ছিল কি অবস্থা হতো একটু অনুমান করে দেখেন। মেয়র সাহেব কি চায় আমাদের মারতে, আমাদের পুলিশ দিয়ে তাড়া করে। এটা তিনি করতে পারেন না।
মস্তফাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যন আব্দুল কুদ্দুস মল্লিক জানান, আজ এরমক দুর্ঘটনা না ঘটতে পারতো আমি একাধিকবার জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা না নেয়ায় আজ এই দুর্ঘটনা। আমি যা দেখলাম এখানে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো আল্লাহ রহমত করছে।
মাদারীপুর ট্রাফিক পুলিশ সার্জন, ইমন হোসেন রাসু জানান, ময়লার আগুনের ধোয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে প্রাইভেটকার ও তৈলবাহী ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে প্রাইভেটকার আগুনের মধ্যে ঢুকে যায়, প্রাইভেটকারে আগুন লাগে আমরা ও স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ততক্ষণে মহাসড়কের দুইপাশে দীর্ঘ গাড়ীর সারি হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.সালাহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ছুটে আসি। রাস্তার পাশের আগুন নিভিয়ে ফেলি। দেরি করলে হয়তো তেলবাহী ট্রাকে আগুন ধরে যেতো।
মাদারীপর পৌসভার মেয়র মো. খালিদ হোসেন ইয়াদ এর সাথে ফোনে এ বিষয় যোগযোগ করা হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়াসউদ্দিন জানান, পৌরসভার আবর্জনা সড়কের পাশে পোড়ানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলা হয়েছে। আগামীতে সড়কের পাশে এসব ময়লা ফেলানো ও পোড়ানো বন্ধ রাখা হবে। তাছাড়া প্রশাসন দিয়ে এলাকাবাসীদের হয়রানী করে বিষয়টি জানতাম না আজ জানলাম। এ বিষয় কথা বলবো তার সাথে।