চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্র আল-আমিন হত্যাকাণ্ডের আলামত উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দুই অফিসার। আসামি পক্ষের লোক তাদের পিটিয়ে আহত করেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত পিবিআই উপপরিদর্শক সোহেল ও সহকারী উপপরিদর্শক হাফিজুর রহমানকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পুলিশের সাবেক পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর ভাই মুশফিকুর রহমান ডাবলু ও লাভলুকে থানায় নিয়ে গেছে।
ঝিনাইদহ পিবিআই ইন্সপেক্টর আব্দুর রউফ জানান, বুধবার সকালে মাদরাসা ছাত্র আল-আমিন হত্যার সাথে জড়িত আটক আসামি সাব্বির ও হৃদয়কে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আড়পাড়া এলাকার একটি পুকুরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও অন্য আলামত উদ্ধারে যায় পিবিআইয়ের একটি দল। ডুবুরিরা দিনভর চেষ্টার পর ছুরি না পেয়ে বিকালে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় পুকুরের পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করে। রাত ১০টার দিকে পুকুর থেকে ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় আটক আসামিদের নিয়ে ছুরিসহ ছবি তোলার সময় আসামি সাব্বিরের ভাই, পিতা ও চাচাসহ পরিবারের সদস্যরা পিবিআই সদস্যদের ওপর হামলা করে। পরে তাদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. খন্দকার রেজোয়ান জানান, আহত পিবিআই অফিসারদের মধ্যে সোহেলের অবস্থা বেশি খারাপ। তার চোখ, কান ও গলায় আঘাত রয়েছে। চোখটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর রাতে বাড়ির পাশে ওয়াজ শুনতে যাওয়ার পর মাদরাসা ছাত্র আল-আমিন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের চারদিন পর ওই এলাকায় নির্মাণাধীন একটি চারতলা ভবনের পেছন থেকে তার জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আল-আমিন আড়পাড়ার আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যবসায়ীর ছেলে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আল-আমিন শহরের সাওতুল হেরা হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র ছিল। লাশ উদ্ধারের পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটক তারিক হাসান সাব্বির সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর ভাই মুশফিকুর রহমান ডাবলুর ছেলে এবং ইয়াছিন আরাফাত হৃদয় একই এলাকার আব্দুস সামাদ ওরফে মিল্টনের ছেলে।