সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
মার্কিন ডাক্তার দম্পতি জেসন এবং মারিন্ডি গরিবের সেবা করতে উন্নত জীবন ছেড়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে | চ্যানেল খুলনা

মার্কিন ডাক্তার দম্পতি জেসন এবং মারিন্ডি গরিবের সেবা করতে উন্নত জীবন ছেড়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার কালিয়াকুড়ি গ্রামবাসীর কাছে ‘ডাক্তার ভাই’ নামে পরিচিত ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ডাক্তার এড্রিক বেকার। টানা ৩২ বছর তিনি ওই এলাকার দরিদ্র রো’গিদের সেবা দিয়ে ২০১৫ সালে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।গরীবদের প্রিয় এই ডাক্তারকে হা’রিয়ে হাসপাতালটির কার্যক্রমেও বড় প্র’ভা’ব ফেলে। প্রয়োজন ছিল ডাক্তার ভাইয়ের মতো একজন পরিচালকের। এদিকে গত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ডাক্তার ভাই নিজেই এমন একটি আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি ডাক্তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু তারপর কী হলো?

বাংলাদেশের কোনো ডাক্তার কি শুনেছেন এড্রিক বেকারের সেই আহ্বান? এদিকে ৫ বছর আগে হানিফ সংকেতের উপস্থাপনায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ইত্যাদির মঞ্চে এসে বৃদ্ধ ডাক্তার এড্রিক বেকার বলেছিলেন, বাংলাদেশি কোনো ডাক্তার যাতে হাসপাতালটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশের নাগিকত্ব পাওয়া এড্রিক পরিস্কার বাংলায় বলেছিলেন, ‘এদেশের মেডিক্যাল কলেজে অনেক মেধাবী ছাত্র আছে। আমি বলব, আপনারারা গ্রামকে ভু’লে যাবেন না। গরীব মানুষকে ভু’লে যাবেন না। গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করবেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের কোনো ডাক্তার এড্রিক বেকারের ডাকে সাড়া দেননি! ডাক্তার হয়ে গরীব মানুষের সেবার জন্য কেউ ফিরে যাননি গ্রামে। তাই বলে কিন্তু থেমে নেই ডাক্তার বেকারের সেই হাসপাতাল।

এদিকে বাংলাদেশি কোনো ডাক্তার সাড়া না দিলেও এড্রিক বেকারের আহ্বান শুনতে পেয়েছিলেন সুদূর আমেরিকায় বসবাসরত ডাক্তার দম্পতি জেসিন-মেরিন্ডি। ডাক্তার বেকারের যখন শে’ষ সময়, তখন তরুণ এই দম্পতির সন্তানগুলো বেশ ছোট ছোট ছিল। যে কারণে তাদের নিয়ে বাইরে যাওয়াটা ছিল প্রায় অসম্ভব। জেসিন-মেরিন্ডি দম্পতি তাই সময়ের অপেক্ষা করেন।

অবশেষে গত বছর চার সন্তান নিয়ে তারা চলে আসেন মধুপুরের সেই হাসপাতালে। এসেই প্রথমে শুরু করেন বাংলা ভাষা শেখা এবং বাঙালি খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি। নিজেরা তো বটেই, সন্তানদেরকেও বাঙালি খাবারে অভ্যস্ত করিয়ে ফেলেছেন জেসিন-মেরিন্ডি। গতকাল শুক্রবারের ইত্যাদির সৌজন্য এই কাহিনী এখন ভা’ইরা’ল।

এদিকে আমাদের দেশের ডাক্তাররা সরকারি চাকরি পেয়েও গ্রামে যেতে চান না। গ্রাম-মফস্বঃলের হাসপাতালগুলো ডাক্তারশূন্য থাকে। বিসিএস নিয়োগের পর শুরু হয় শহরে থাকার তদবির। তারা চান শহুরে আধুনিক জীবন। অথচ, বাংলাদেশের চেয়ে একশগুণ উন্নত দেশ আমেরিকার একশগুণ উন্নত জীবন ছেড়ে, স্রেফ মানবসেবার জন্য বাংলাদেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে চলে এসেছেন জেসিন-মেরিন্ডি।

তাছাড়া সারাজীবনই তারা গরীব মানুষের সেবা করে যেতে চান। যে কারণে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন সন্তানদের। তারা আর দশটা বাংলাদেশি শিশুর মতোই বেড়ে উঠছে, বাংলা শিখছে। তবে সন্তান ইংরেজি না শিখলে বাংলাদেশি বাবা-মায়ের যেমন সম্মান যায়, সন্তানরা বাংলা শেখায় জেসিন-মেরিন্ডি কিন্তু মোটেও অসম্মানিত বোধ করছেন না।

ডাক্তার ভাই এড্রিক বেকার টাঙ্গাইলের মধুপুরের কালিয়াকুড়িতে গরিবের জন্য হাসপাতাল গড়ে তুলেছিলেন। বেকার মা’রা যাওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েছেন আমেরিকান দম্পত্তি জেসন-মারিন্ডি।গতকাল শুক্রবার বিটিভিতে প্রচারিত হানিফ সংকেতের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে এই দম্পত্তিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক মাধ্যমে ভা’ইরা’ল হয়ে যায়। দরিদ্র মানুষদের জন্য নিউজিল্যান্ডের চিকিৎসক এড্রিক বেকারের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের হাল ধরে প্রশংসায় ভাসছেন আমেরিকান এই দম্পত্তি।

ইত্যাদির ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টানা ৩২ বছর গ্রামের দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা দেয়ার পর মা’রা যান ডাক্তার ভাই হিসেবে পরিচিত ডাক্তার এড্রিক বেকার। দূ’রারো’গ্য ব্যা’ধি’তে আ’ক্রা’ন্ত হলে অনেকেই চেয়েছিলেন উনাকে ঢাকাতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিতে। তিনি ঢাকা যাননি। তার তৈরি করা হাসপাতালেই তিনি ২০১৫ সালে মা’রা যান।মৃ’ত্যুর আগে তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশি কোনো ডাক্তার যেন গ্রামে এসে তার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের হাল ধরেন। কিন্তু এ দেশের একজন ডাক্তারও তার সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তবে দেশের কেউ সাড়া না দিলেও এড্রিক বেকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন আমেরিকার এক হৃদয়বান দম্পত্তি জেসন ও মারিন্ডি।

ডা. এড্রিক বেকার বেঁচে থাকার সময় কালিয়াকুড়ির এই হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছিলেন। পরবর্তীতে ডাক্তার ভাইয়ের মৃ’ত্যুর খবর শুনে জেসন অ’স্থি’র হয়ে উঠেন। কিন্তু তখন নিজের প্রশিক্ষণ ও ছেলেমেয়েরা ছোট থাকার কারণে জেসন বাংলাদেশে আসতে পারেননি।অবশেষে সবকিছু গুছিয়ে সম্পদ আর সুখের মো’হ ত্যা’গ করে ২০১৮ সালে পুরো পরিবার নিয়ে আমেরিকা ছেড়ে স্থায়ীভাবে চলে আসেন মধুপুরে। জেসন হয়ে উঠেন নতুন ডাক্তার ভাই আর মারিন্ডি হয়ে উঠেন ডাক্তার বিবি। বাংলাদেশে আসার সময় নিজেদের সন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তারা।

ইতিমধ্যে ভর্তি করে দিয়েছেন গ্রামেরই স্কুলে। তারা গ্রামের শিশুদের সঙ্গে লেখাপড়া ও খেলাধূলা করে। অবসরে ডাক্তার জেসিনও লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়ান। তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশি ফল ও খাবার। জেসন-মারিন্ডি বাংলায় কথা বলতে পারেন। সন্তানদেরও বাংলা ভাষা শেখাচ্ছেন।

প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন এই দম্পত্তি। ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশি ডাক্তারদের গ্রামে গিয়ে দরিদ্র মানুষের সেবার আহ্বান জানিয়েছেন জেসন-মারিন্ডি।এদিকে প্রতিবেদনটি ভাইরাল হওয়ার পর জেসন-মারিন্ডি দম্পত্তির প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে দরিদ্র মানুষের সেবা করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা তা নজিরবিহীন বলেও মনে করেছেন অনেকেই।কেউ কেউ বলছেন, আমরা সুযোগ পেলেই গ্রাম থেকে শহরে ছুটি। শহর থেকে বিদেশ পাড়ি দেই। শিশু জন্মের পর থেকেই চিন্তা থাকে কত দ্রুত সন্তানকে আধুনিক মিডিয়াম ইংরেজি স্কুলে বাচ্চাকে পড়াব। ইত্যাদির প্রতিবেদনটা দেখলাম। ডা. জেসন এবং মারিন্ডি দম্পত্তি আমাদের এক বিশাল লজ্জায় ফেলে দিলেন।

লুঙ্গি পরায় জেনসের প্রশংসা করে একজন লিখেছেন, লুঙ্গি পরাতো আমাদের রুচির সঙ্গে আজ বড়ই বেমানান। লুঙ্গি পরতে পারি না বলতে পারলে- আমাদের আভিজাত্যের পারদ শুধু একটুকু না অনেকটুকুই বাড়ে। বনানী গুলশান এলাকায় তো একবার লুঙ্গি পরাই নি’ষি’দ্ধ করে দিয়েছিল। কারণ ওরা জানে না ওদের প্লেটে যে খাবার যায়- তা এদেশের লুঙ্গি গামছা পরা কৃষকরাই তুলে দেয়।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের ওপর ডিম নিক্ষেপ

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

কালীগঞ্জে ভারতীয় গরু আনতে গিয়ে যুবক আটক

পাটের ব্যাগ পুনরায় সর্বত্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছি : সাখাওয়াত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।