চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃগভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দরবনের খালে আশ্রয় নেওয়া ট্রলারে হানা দিয়ে মাছ ও নগদ টাকাসহ ৩ লাখ টাকার মালামাল বনরক্ষীরা লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর চাহিদার আরও দুই লাখ টাকা না পেয়ে ১৩ জেলেকে গভীর বনে বাঘ ও কুমিরের মুখে ছেড়ে তারা। তিনদিন বনের মধ্যে হিংস্র প্রাণীর মুখোমুখি হয়েও প্রাণ নিয়ে ফিরে আসেন এসব জেলোরা। মঙ্গলবার (৯ জুন) মোংলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেল করে তারা একথা জানান।
বনরক্ষীদের লুটপাট ও মারধরসহ বনের মধ্যকার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী জেলেরা। জেলে ও ট্রলার মালিক আব্দুর রশিদ লিখিত বক্তব্যে জানান, ৭ মে বনবিভাগের দুবলা ফরেস্ট থেকে বৈধ পাসপারমিট নিয়ে দু’টি ট্রলারে করে ১৩ জেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। আম্পানের কারেণ সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় দিকভুল করে সাগর সংলগ্ন সুন্দরবনের বেহালা কয়লা খালে আশ্রয় নেয় তারা। এদিন সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান, বনরক্ষী রাসেল, কাওছার, আমজাদ ও বনবিভাগের বোটচালক আসাদসহআরও ৩-৪ জন বনরক্ষী তাদের ট্রলারে উঠে মারধর করে মাছ-জাল ও তেলসহ ৪৫ হাজার নগদ টাকা লুটে নেয়। এছাড়া রাইফেল দিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে জেলেদের ভয় দেখানো হয়। কেড়ে নেওয়া হয় তাদের সঙ্গে থাকা বনবিভাগের বৈধ পাস পারমিট। আর বনরক্ষীদের চাহিদার আরও ২ লাখ টাকা দিতে না পারায় ট্রলার আটকে রেখে ১৩ জেলেকে গভীর বনে বাঘ-কুমিরের মুখে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেরা
জেলেদের অভিযোগ, তাদের ট্রলার আটকে বনরক্ষীরা এখনও ঘুষের টাকার দাবিতে নানা টালবাহানা করে চলছে। এতে ১০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের এ অবস্থায় আর্থিক ক্ষতিপূরণ ছাড়া পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে পশ্চিম সুন্দরবনের বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান ‘আমি একটি অ্যাকশনে (নিলাম) আছি। পরে কথা বলবো’ বলেই ফোন কেটে দেন। এরপর একধিকবার চেষ্টা করেও ফোনে পাওয়া যায়নি তাকে।