চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃমাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২০ আজ বুধবার বরাবরের মতোই শেরেবাংলা নগরে শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টায় ২৫তম এ বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা মাঠের অস্থায়ী সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান। বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা। মেলার গেট সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে। সঙ্গে থাকছে পদ্মা সেতুর মডেল। তবে প্রবেশমূল্য এবার বাড়ানো হয়েছে। আর গত বছরের তুলনায় এবার কমানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা। গত বছর ৬৩০টি স্টলের পরিবর্তে এবার করা হয়েছে ৪৮৩টি। অর্থাৎ স্টল কমেছে ১৫৯টি। এবারের স্টলের মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল।
বাণিজ্য মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ বছর ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়া।
মেলায় প্রবেশ টিকিটের দাম ধরা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বয়সসীমা উল্লেখ করা হয়নি। মোট টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খাবারের দোকানগুলোর জন্য খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলায় খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে মেলার মাঠে চালু থাকবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। অনলাইনে মেলার সব তথ্য পাওয়া যাবে। মেলায় খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে ২টি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক ও ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ।
ঢাকার পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার স্থায়ী ঠিকানা নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। মাঝখানে ২০০৭ সালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে স্থায়ী বাণিজ্য মেলা কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে তা পূর্বাচলে চলে যায়।