করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন, শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ। আবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু আছে ব্যাংক ব্যাংক, শিল্পকারখানা, গণমাধ্যমের অফিস। জরুরি সেবা খাতগুলোও খোলা রয়েছে। চালু আছে রাজধানীসহ সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচিও।
১৪ থেকে ২১ এপ্রিলের মধ্যরাত, এই আট দিনের সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞায় চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশের দেয়া ‘মুভমেন্ট পাস’ সংগ্রহের ক্ষেত্রে মানুষের বিপুল সাড়া পড়েছে। আবার হয়রানি ও ভুল বোঝাবুঝির ঘটনাও ঘটছে।
এই পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তি দূর করতে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, কোন কো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিধিনিষেধের আওতামুক্ত। তাদের চলাচলে মুভমেন্ট পাস প্রয়োজন নেই শুধু পরিচয়পত্র দেখিয়েই কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যারা:
১. ডাক্তার
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা
১৮. বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন চলছে। গতকাল পহেলা বৈশাখের ছুটির পর ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই আজ খোলা। ফলে সকাল থেকেই রাস্তায় দেখা গেছে অফিসগামী যাত্রীদের। তবে যথারীতি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ও চেকপোস্টে পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জরুরি সার্ভিসে নিয়োজিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের মুভমেন্ট পাস আছে কিনা সে বিষয়টি তারা নিশ্চিত করছেন। মুভমেন্ট পাস না থাকলে অফিসের পরিচয়পত্র দেখেও অনেককে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
তাই পুলিশ সদর দফতর থেকে চেকপোস্টে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিফিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।