কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধৈইর ইউনিয়নের কুরবানপুর গ্রামের সাতটি ঘরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের সাজা দেয়।
ওই পাঁচ জন হলেন কোরবানপুর এলাকার শানু মিয়া (৩৮), এনু মিয়া (৪৮), হেলাল ভূঁইয়া (৫০), মো. এরশাদ (৪০) ও বাবু মিয়া।
তাদের মধ্যে এরশাদ, হেলাল ও শানু মিয়াকে ১৮ মাস করে এবং এনু মিয়া ও বাবু মিয়াকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আগুনে চারটি বাড়ি, একটি মন্দির, একটি ভাস্কর্য ও একটি ভোজনালয় পুড়ে গেছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আনোয়ার হোসেন।
তিনি কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নুরুল ইসলামকে ঘটনার সব সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাড়ের আদেশ দেন।
ডিআইজি আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনা দেখে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্তের পরেই বিস্তারিত বলা যাবে।’
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনটি মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি মামলায় ৯১, অপর দুই মামলায় ৮৪ ও ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং সাড়ে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
একটি মামলা করেছেন পূর্ব ধৈইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বন কুমার শিব। অন্য দুই মামলার বাদী স্থানীয় লিটন ও সন্দীপ।
স্থানীয় ভানু বিষন শিব ও ঝর্ণা শিব নিউজবাংলাকে জানান, রোববার বিকেলে তিন-চারশ লোক হঠাৎ করেই এলাকা আক্রমণ করে। পরিবার নিয়ে তারা পালিয়ে যান। পরে এসে দেখেন, তাদের ঘর লুট করা ও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।