মোংলা উপজেলার এক রাজনৈতিক নেতার রোষানলে পড়ে কয়েকটি ভূমিহীন পরিবার মিথ্যা মামলায় জেল খাটাসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ওই ভূমিহীনদেরকে উপজেলা প্রশাসনের দেয়া খাস জমিতে মাছ চাষ করেও তা ধরতে পারছেনা তারা। ভূমিহীনদের চাষ করা মাছ লুটসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও মারধর করে ঘর ছাড়া করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও একটি হত্যা মামলার আসামি মাওলানা আব্দুল কাদের। এই নেতা আত্নসমর্পণ করা সুন্দরবনের এক দস্যুর রক্ষিত ৯০ লাখ টাকাও আত্নসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আত্নসমর্পণ করা দস্যু গামা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড গোলাম রসুল ফকির। আত্নসাৎ করা সেই টাকা দিয়ে মাওলানা কাদের খুলনায় করেছেন আলীশান বাড়ী। এ অভিযোগ করেছেন গোলাম রসুল ফকিরসহ উপজেলার সোনাইলতলা এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার সোনাইলতলা এলাকায় গেলে ভূমিহীন ১২টি পরিবারের শতাধিক নারী-পুরুষ মাওলানা আব্দুল কাদেরর বিরুদ্ধে ভীতিকর নানা অভিযোগ করেন। এক সময়ের জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও ভোল পাল্টে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নানা রকম কু-কর্মে লিপ্ত হন সুবিধাবাদী এই নেতা। এ সময় সুন্দরবনের আত্নসমর্পণকারী বনদস্যু গামা বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড গোলাম রসুল ফকির অভিযোগ করে বলেন, সে সময় দস্যুতা করে দুই দফায় ৯০ লাখ টাকা মাওলানা আব্দুল কাদেরর কাছে জমা রাখি। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে টাকা ফেরত চাইলে সে সোনাইলতলা এলাকার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহিদুল তালুকদারকে খুন করার জন্য প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় তার টাকা ফেরত দেয়নি। পরে শহিদুল তালুকদারকে ২০০৭ সালে ভাড়া করা এক খুনিকে দিয়ে হত্যা করে মাওলানা কাদের। এ হত্যাকান্ডের মূল আসামীও মাওলানা আব্দুল কাদের। এদিকে তার কাছে জমা রাখা টাকা দিয়ে গোলাম রসুলকে জমি কিনে দেওয়ার কথা বললেও দেয়নি, এমনকি ফেরত দেওয়া হয়নি সেই টাকাও।