মোংলায় অসহায় এক নারীকে ঘায়েল করতে মিথ্যা অভিযোগে নানা রকম ষড়যন্ত্রমূলক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে চিহ্নিত এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। পৌর শহরের স্থায়ী বন্দর এলাকার বাসিন্দা শিউলী ইয়াসমিনকে জড়িয়ে নানা রকম অপবাদ দিয়ে তার সম্মানহানীর ঘটনায় ওই প্রতারকের বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। শনিবার দুপুরে মোংলা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ওই প্রতারকের বিচার চান তিনি। এছাড়া প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরেও বন্দর এলাকার চিহ্নিত প্রতারক মোঃ সোহেল মাহমুদ ওরফে শ্রাবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে জয়যাত্রা টেলিভিশনের পরিচয়বহন করে বন্দর এলাকায় শ্রাবন মাদকের রমরমা ব্যবসা ও আড্ডা গড়ে তোলেন। শ্রাবনের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করেন স্থানীয় বাসিন্দা শিউলী ইয়াসমিন ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন। এরপর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন ওই প্রতারক কথিত সংবাদকর্মী পরিচয়দানকারী শ্রাবন। এছাড়া শিউলির নামে বন্দর কর্তৃপক্ষের জমিতে দেয়া বরাদ্দকৃত দোকান বাতিল করতে ওই শ্রাবন নানা রকম ষড়যন্ত্র করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
স্থায়ী বন্দর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার, গনেশ চন্দ্র ভৌমিক, মোঃ সুমন, জনি, আকলিমা ও মনিরা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সোহেল মাহমুদ ওরফে শ্রাবন জয়যাত্রা টেলিভিশনের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজীসহ এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছিলো। তার ওইসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন লোকের নামে মামলাসহ সামাজিকভাবে তাদের নানাভাবে হয়রানী করে আসছেন প্রতারক শ্রাবণ। এমনকি তাদের স্বাক্ষর জাল করে শিউলি ও তার স্বামী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে বন্দর ককর্তৃপক্ষের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এসব অভিযোগে তারা স্বাক্ষর করেননি উল্লেখ করে কথিত সংবাদকর্মী শ্রাবনের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ প্রশাসনের ১২ টি দপ্তরে তারা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে ভুয়া সংবাদকর্মী আখ্যা দিয়ে শ্রাবনের হাত থেকে পরিত্রান পেতে মোংলা প্রেসক্লাবে এর আগে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনও করেছেন এলাকাবাসী। তারপরও থেমে নেই শ্রাবন। নানা অপকর্মের সাথে জড়িত থেকে চরম বিতর্কিত ও প্রতারক শ্রাবন নিজেকে সংবাদকর্মীর পরিচয় দিয়ে এবং তার ভাই ম্যাজিস্ট্রেট সেই ভয়-দাপট দেখিয়ে লোকজনকে একের পর এক হয়রানী করে আসছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে আরো বলেন, আমরা বন্দরের জায়গা বরাদ্দ নিয়ে বসতঘর ও দোকানপাট দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চলে আসছি। এখন শ্রাবণ আমাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করছেন। তাকে চাহিদানুযায়ী চাঁদা না নিলে আমাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তার সাথে নাকি বন্দরের কর্মকর্তাদের ভাল সম্পর্ক তাইও বলছে শ্রাবণ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ও কথিত সংবাদকর্মী শ্রাবন বলেন, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তার সবই মিথ্যা ও বানোয়াট।