খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লবের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সাধারণ সদস্যরা। অবিলম্বে সাজানো-পাতানো ভোটে নির্বাচিত বর্তমান পরিষদ ভেঙে দিয়ে পুনঃনির্বাচনের দাবি করেছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি উপস্থাপন করা হয়। সাধারণ সদস্যদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এডহক কমিটির আহবায়ক মোঃ রেজাউল হক বাবলু।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আ’লীগ সরকার আসলে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ নং-১১১৪) শ্রমিকদের কপাল পোড়ে। স্বৈরাচার মাফিয়া শেখ হাসিনার দোসর আ’লীগ খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লবের মাধ্যমে ইউনিয়নটা আ’লীগ দলের হয়ে যায়। আ’লীগ সরকার যেভাবে স্বৈরাচারী কায়দায় লোক দেখানো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা ধরে লুটপাট করতো, ঠিক তদ্রুপ স্বৈরাচারী বিপ্লবও তার মন মতো শ্রমিক দ্বারা কমিটি সাজিয়ে শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের পরামর্শে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের দ্বারা নির্বাচন কমিটি পরিচালনা করে লোক দেখানো নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রেখে লুটপাট করেছে। শ্রমিকদের ঠিক মতো সাহায্য সহযোগিতা না দিয়ে শ্রমিকদের ঘাম ঝরানো গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করে টাকার পাহাড় এবং বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়ি করেছে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী বিপ্লব, ইউনিয়নের নামে ৪ খানা গাড়ি ও টার্মিনালের ভিতর ইউনিয়ন অবস্থিত কেডিএ বরাদ্দ যে জায়গা ছিল সেই সব বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তারপর ইউনিয়নের নামে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন কেডিএ’র ৫ কাঠা জায়গা স্বৈরাচারী বিপ্লব সেই জায়গার উপরে ইউনিয়ন অফিস করে এবং বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার করে ব্যক্তিগত ভাবে ভাড়া খায়। সদস্য কার্ডে প্রকাশিত মৃত শ্রমিকদের পরিবারদের ১ লাখ টাকা দেয়ার বিধান থাকা সত্তে¡ও বহু মৃত শ্রমিকের পরিবারকে অনুদান দেয়নি। গত ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেলের নির্দেশে আ’লীগের নেতা-কর্মীদের দিয়ে পাতানো লোক দেখানো নির্বাচন করেছিল।
ওই নির্বাচন প্রত্যাখান করে সংগঠনের সভাপতি জাহিদ খানকে অবিলম্বে এই অবৈধ কমিটি ভেঙে পুনরায় নির্বাচন দেবার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শ্রমিকরা। সংবাদ সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
এ সংবাদ সম্মেলনে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েকশ’ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।