বাগেরহাটের মোল্লাহাটে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দরিদ্রদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণ কার্যক্রমে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ৩ নং গাংনী ইউনিয়নের নগরকান্দি ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ডিলার মোঃ ফিরোজ শেখের বিরুদ্ধে ওই এলাকার অসহায় দরিদ্রদের থেকে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় দরিদ্র অসহায় ফুলজান বেগম (৫৮), বাহিজা বেগম (৬০) ও মান্নান শেখ (৫০)সহ কিছু পুরুষ ও মহিলা উক্ত ইউপি সদস্য ও ডিলার মোঃ ফিরোজ শেখের বিরুদ্ধে এ প্রতিবেদককে জানান, মোঃ ফিরোজ শেখ অতি সম্প্রতি তাদের কাছ থেকে আইডি কার্ডসহ কাগজপত্র নেয় ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড করে দেয়ার কথা বলে। পরবর্তীতে অনৈতিক যোগাযোগ রা না করায় তাদেরকে কার্ড দেয়া হয় নাই। সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে একই পরিবারের একাধিক/সকল সদস্যকে পৃথক পৃথক কার্ড দেয়া এবং অসহায় হতদরিদ্র অনেক পরিবারকে একটি কার্ডও না দেয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহৎ উদ্যোগ ব্যাহত করছে ইউপি সদস্য ও ডিলার মোঃ ফিরোজ শেখ। এ সময় তারা আরো বলেন, ফিরোজ বিএনপি আমলে বিএনপির নেতা ছিলো, তখন আওয়ামীলীগের অনেককে সীমাহীন হয়রানী করেছে। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগের পোশাকে সরকারের মহত কাজ নস্যাতে মেতে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত করছে সে। এঘটনার যথাযথ বিচার দাবী করেন তারা।
অভিযোগকারীরা বলেন, ১০ টাকা কেজি চালের তালিকা অনুযায়ী চায়না বেগম নামে এক মহিলাকে ৪৫৯ ও ৫৭৮ দুইটি সিরিয়ালে দুইটি কার্ড দেয়া হয়েছে, এছাড়া উক্ত চায়নার তিন ছেলে রবিউল বিশ্বাস, সিরিয়াল ৫৮৮, ওবায়দুল বিশ্বাস, সিরিয়াল ৪১৫ এবং সিরাজুল বিশ্বাস সিরিয়াল ৩৯২ অর্থাৎ একই পরিবারের ৪ ব্যক্তির নামে পাঁচটি কার্ড প্রদান করা হয়েছে। পান্তরে আমরা সত্যিকারে অসহায় অনেক পরিবার আছি যারা কার্ডের আশায় কাগজপত্র দিয়েও কার্ড পাই নাই। আবার কারো কারো নাম তালিকায় আসছে কিন্তু তাদেরকে চাল না দিয়ে বলা হয়েছে যে, তোমাদের কার্ড হয় নাই। অসহায় দুরদ্রদের সাথে একই সুরে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে এর বিচিার দাবী করেন স্থানীয় তৈয়ব বিশ্বাস (৬৫), নুরুল ইসলাম (৫৫) ও তাহিদুল কাজি (৩৫)সহ অনেকে।
এবিষয়ে অনেক চেস্টা করেও সাক্ষাত না পাওয়া এবং মঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় উক্ত ইউপি সদস্য ও ডিলার মোঃ ফিরোজ শেখের বক্তব্য পাওয়া যায় নাই।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার উজির আলী জানান, উক্ত মেম্বার ও ডিলার মোঃ ফিরোজ শেখের বিরুদ্ধে ২৩টি কার্ডের দূর্নীতির প্রমান মিলেছে। খোজ-খবর নিলে এ অনিয়মের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।