আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শণ শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
রোববার (১৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে নাসিমের মরদেহ দাফনের জন্য রাজধানীর বনানী কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়।কবরস্থান জামে মসজিদে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজার পর রাষ্ট্রিয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি থাকায় সীমিত সংখ্যক মানুষকে এ সময় কবরস্থানে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়। দাফনের আগে তানভীর শাকিল জয় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
এর আগে সকাল ৯টায় রাজধানীর সোবহানবাগ জামে মসজিদে মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত জয়৷ করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে জানাজার অয়োজন করা হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হাসপাতালে টানা ৯ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা মোহাম্মদ নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যকালে বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।
করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ১ জুন বেসরকারি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। পরে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।এরপর ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন নাসিম। করোনাভাইরাসমুক্ত হলেও এর মধ্যে ব্রেইন স্ট্রোক হলে তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হয়ে ওঠে। পরিবার বিদেশে নিতে চাইলেও সেই অবস্থাও ছিল না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান বরেণ্য এই রাজনীতিক।
মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে।