যশোরের অভয়নগরে সাংবাদিকতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে ধর্ষণের ভিডিও এর দৃশ্যধারণ করে চাঁদা দাবিরও অভিযোগ উঠেছে। স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে অভয়নগর থানায় ধর্ষণ ও পর্নগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মাহবুবুর রহমান (৪০) ও অনিক বাঘা (২৬) নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীর মা উল্লেখ করেন, তার মেয়ে নওয়াপাড়ার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্রী। ছোট বেলা থেকে মেয়েটির সাংবাদিকতা করার শখ। এটা জানতে পেরে মাহাবুবুর রহমান তাকে সাংবাকিতার কার্ড করে দেয়ার প্রলোভন দেখায় এবং তার কাছ থেকে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও জন্মনিবন্ধনের কার্ড নেয়।
এরপর সে মেসেঞ্জারে মেয়েকে সাংবাদিকতার ফরম পূরণ করার জন্য চলিশিয়া গ্রামে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বার্তা পাঠায়। গত ২১ আগস্ট দুপুর দেড়টার দিকে তার মেয়ে মাহাবুবের বাসায় গেলে তাকে ধর্ষণ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, কিছুদিন পর মেয়েটিকে ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে মাহাবুবুর নওয়াপাড়া বাজারস্থ কাঁচাবাজারের পেছনে নিয়ে অনিক বাঘার সহযোগিতায় ফের ধর্ষণ করেন। এসময় সে ওই স্কুলছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) অনিক বাঘা ০১৯৭৩-০৯৬৪৯৫ নম্বর থেকে মেয়ের বাবাকে ফোন করে চাঁদার ৫০ হাজার টাকা পরিশোধের চাপ দেয়। অন্যথায় ভিডিও ফাঁস করার হুমকি দেয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম শামিম হাসান গ্রেপ্তার ও মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র-ভিডিও করায় ধর্ষণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মাহবুবুর রহমান ও অনিক বাঘা নামের দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।