নাফি উজ জামান পিয়াল, যশোর প্রতিনিধি : গতকাল রবিবার ( ২৬ এপ্রিল ) যশোরে ৩০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে দুপুরে এক জরুরী মতবিনিময় সভায় যশোরের জেলা প্রশাসক মো: শফিউল আরিফ যশোরকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেন। আজ সোমবার ( ২৭ এপ্রিল ) ভোর ৬ টা থেকে এই লকডাউন কার্যকর হয়। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে দেখা গেছে কোথাও লকডাউনের নামমাত্র ছাপ নেই। অনান্য দিনের মতই সবাই একসাথে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শহরের কাচাবাজার গুলোতে রয়েছে বাড়তি ভীড়, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানায় কিছু সংখ্যক পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে। যারা অপ্রয়োজনে বাইরে বেড়িয়েছে তাদেরকে তারা বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে। এসময় বিভিন্ন যানবহন চলাচল করতে দেখা যায় বিশেষ করে মটোরসাইকেল এর সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। দড়াটানায় দায়িত্বরত একজন পুলিশের সাথে কথা হলে তিনি জানায়, প্রশাসন থেকে যেভাবে নির্দেশ প্রদান করেছে তারা সে অনুযায়ী কাজ করছে। তবে তার মতে মানুষকে ঘরে রাখতে আর লকডাউন মানতে হলে প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
এদিকে আজ সোমবার ( ২৭ এপ্রিল ) যশোরের মাত্র আটটি নমুনা পরীক্ষা করে তার চারটিই করোনা পজেটিভ হয়েছে। এই নিয়ে যশোর জেলায় মোট ৩৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলেন। যার মধ্যে সদরে ১ জন, কেশবপুর ১ জন, চৌগাছা ২ জন।
গতকালের পরীক্ষায় এছাড়াও সাতটি নমুনা করোনা পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ঝিনাইদহের চারটি ও নড়াইলের তিনটি।
রোববার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রফেসর ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, রোববার যশোরসহ চার জেলার মোট ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে যশোর জেলার আটটি নমুনার চারটি, ঝিনাইদহের ৩৯টির মধ্যে চারটি এবং নড়াইলের ২০ নমুনার মধ্যে তিনটির রেজাল্ট পজেটিভ পাওয়া যায়।
আর মাগুরা জেলার ১১টি নমুনার সবগুলোই নেগেটিভ রেজাল্ট দেয়।
প্রফেসর জাহিদ বলেন, নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট আইইডিসিআর ও সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা এসব রোগীর অবস্থান জানতে পারবেন।