ওমান উপসাগরে রহস্যজনক বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলি কার্গো জাহাজটি মেরামত কাজের জন্য দুবাই বন্দরে পৌঁছেছে। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাহাজাটি দুবাই পৌঁছায়। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে জাহাজটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করেছে ইসরায়েল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ওমান উপসাগরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর মেরামত কাজের জন্য রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ের পোর্ট রশিদ বন্দরে পৌঁছায় ইসরায়েলি মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি হেলিয়স রে। বিস্ফোরণের পর জাহাজটির দুই পাশে ছিদ্র হয়ে যায়। বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি এবং এতে জাহাজটির কোনো ক্রুও হতাহত হয়নি।
এদিকে মেরামতের জন্য জহাজটি দুবাই বন্দরে নোঙর করার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) কর্মকর্তারা। তবে ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেৎজ জানিয়েছে, কার্গো জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে শনিবার দুবাই পৌঁছেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
‘এমভি হেলিয়স রে’- এর মালিক ৭৪ বছর বয়সী আব্রাহাম উনগার। তিনি ইসরাইলের অন্যতম প্রধান ধনী ব্যক্তি এবং তেল আবিবভিত্তিক ‘রে শিপিং লিমিটেড’-এর প্রতিষ্ঠাতা। ব্রিটেনের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন্সের তথ্য মতে- এমভি হেলিয়স রে সৌদি আরবের দাম্মাম বন্দর থেকে গাড়ি বহন করছিল। আগামী ৫ মার্চ জাহাজটির সিঙ্গাপুর পৌঁছানোর কথা ছিল।
জাহাজের মালিক রামি উনগারের বরাত দিয়ে ইসরায়েলের একটি সংবাদমাধ্যম শনিবার জানায়, বিস্ফোরণের ফলে জাহাজটিতে দেড় মিটার ব্যাসার্ধের দুটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইঞ্জিনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এর আগে ইসরায়েলি কার্গো জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় শনিবার ইরানকে দোষারোপ করে দেশটি। ‘প্রাথমিক মূল্যায়নের’ ভিত্তিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ বিস্ফোরণের সঙ্গে তেহরানের জড়িত থাকার বিষয়ে দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি নাগরিক ও স্থাপনার ওপর হামলা করতে চায় ইরান। ওমান উপসাগরে বিস্ফোরণের শিকার হওয়া জাহাজটি তুলনামূলকভাবে ইরানের কাছাকাছি অবস্থান করছিল, আর এতেই সন্দেহ হচ্ছে যে, বিস্ফোরণের দায়টা ইরানেরই।’