বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় ডুমুরিয়া উপজেলা শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ, উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) মামুনুর রশিদ, ভাইস চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন পারভীন রুমা,চেয়ারম্যান শেখ দিদার হোসেন,গাজী হুমায়ূন কবির বুলু, বিমল কৃষ্ণ সানা, জহুরুল ইসলাম, গোপাল চন্দ্র দে, রংপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সমারেশ মন্ডল, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দিক, কেন্দ্র দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ কর্মকর্তা আওরঙ্গজেব আল হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুব্রত বিশ্বাস, দারিদ্র্য বিমোচন অফিসার প্রতাপ চন্দ্র দাস, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ শাহ আলম, ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার নিশাত মরিয়ম, ডুমুরিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাবে সভাপতি কাজী আবদুল্লাহ, সহ-সভাপতি শেখ মাহতাব হোসেন, ডি ওয়াই এম (রাইট হিয়ার নাও ২) ব্র্যাক শিক্ষা রাণী, অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ ডুমুরিয়া উপজেলা সমন্বয়কারী আবুল হোসেন ভূঁইয়া, উল্লেখ্য দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী বিরাজমান ক্ষুধা-দারিদ্র্য দূরীকরণের ব্রত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের জন্ম। একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংস্থা হিসেবে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ১৯৭৭ সালে যাত্রা শুরু করে। ইউরোপ-অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়া, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার ২২ টি দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে এনজিও ব্যুরোর রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তির মাধ্যমে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট- বাংলাদেশ কাজ শুরু করে।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট গতানুগতিক কোন এনজিও বা দাতা সংস্থা নয়। এটি একটি বিশ্বাস, একটি প্রতিশ্রুতি ও একটি সামাজিক আন্দোলন। বিশ্বাসটি হলো, প্রতিটি মানুষ অমিত সম্ভাবনা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
জন্মগতভাবে প্রাপ্ত সেই অমিত সম্ভাবনাই তাকে করতে পারে দারিদ্র্যমুক্ত এবং আত্মনির্ভরশীল। মানুষ যদি তার ক্ষমতার সৃজনশীল বিকাশের সুযোগ পায়, সে যদি আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়, তাহলে সে নিজেই তার ভাগ্যোন্নয়নের দায়িত্ব নিতে পারে। নিজ ভবিষ্যতের কারিগর হতে পারে। এ চেতনাবোধ থেকেই দি হাঙ্গার প্রজেক্ট সারা বাংলাদেশে একটি গণজাগরণ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রতিবদ্ধ। যার লক্ষ্য সমাজের প্রতিটি মানুষকে উজ্জীবিত ও সংগঠিত করা। একজন উজ্জীবক ও সংগঠিত মানুষ নিজের জীবনের হাল নিজেই ধরতে পারবে। নিজের অবসান থেকে নিজস্ব সম্পদকে প্রাথমিক পুঁজি করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করতে একক বা সমাজের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।