রামপালে আ.লীগ নেতা ফিরোজ হত্যার ঘটনায় ৫ গ্রামে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তেজিত জনতা আসামীদের বাড়িতে চড়াও হয়ে বসতঘর ও দোকানঘার ভাংচুর করায় আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উত্তেজনা প্রশমনের জন্যে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরুষশূন্য গ্রামগুলি হলো ভাগা, কাদিরখোলা, সুলতানিয়া, কাষ্টবাড়িয়া ও চিত্রা। এ সব গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসীরা মূলত সংঘবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ ঢালীকে হত্যা করে। সূত্র জানায়, একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক ও তার অনুসারীরা রামপাল সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জামীল হাসান জামুকে কোনঠাসা করার চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় কাষ্টবাড়িয়ার কথিত আওয়ামী লীগ নেতা সন্ত্রাসী ও রামপাল থানা পুলিশের দালাল বলে খ্যাত বেলাল বেপারীকে সামনে নিয়ে আসেন। তাকে ও তার ভাই বিএনপি নেতা আক্তার চেয়ারম্যানের হত্যাসহ বহু মামলার আসামি বাকি বেপারীগংদের সৃষ্টি করেন। তারা একের পরে এক সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে। মৎস্যঘের দখল, চাঁদাবাজী, বহু মানুষকে মারপিট করে পঙ্গু করে দেয়াসহ নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। এরা উপজেলা পর্যায়ের এক নেতার সেন্টারে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা সাবেক চেয়ারম্যান জামুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হত্যার চক কষতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ব্যার্থ হয়ে জামুর সহকারী ফিরোজ কে হিট করে। এ ঘটনায় রামপাল থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন শেখ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল তিনি জানান, এটা খুবই দুঃখজনক। প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং কেউ হয়রানির শিকার না হয় সেটিও লক্ষ রাখার জোর দাবী করেন।
অভিযোগের বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, বাড়িঘর ভাংচুরের একই লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ব্যাপারে মোংলা সার্কেলের এএসপি আসিফ ইকবাল এর মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। #