রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতাঃ রামপালে এতিমদের জমি রক্ষায় ও ঘের দখলবাজদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় সিংগড়বুনিয়া (পুটিমারী) গ্রামে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে শেখ আঃ মজিদ জানান, তার ছোট ভাই আঃ জব্বার স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে মারা যান। তার রেখে যাওয়া ছোট কাঠালী মৌজার ৫৩৫ খতিয়ানের ৩০৫ ও ৩০৬ দাগের ০.৫৭ শতক জমি যা দেওয়ানী মকদ্দমায় রায় ডিগ্রী প্রাপ্ত হন তার নাবালক পুত্র ও স্ত্রী। ওই জমির একাংশ পুত্র ইমরানের নিকট থেকে ক্রয় করে ০.১৭ শতকের স্থলে ০.৩৪ শতক জমি ভোগদখলের অপচেষ্টা চালায় স্থাণীয় আলমগীর, জাহাঙ্গীর, হুমায়ুন, বাদল শেখ, আঃ মান্নান, মনিরুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন। এছাড়াও নালিশী জমির বেশ কিছু অংশ ঘিরে নেওয়ার চেষ্টা করলে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে দখল মুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে ঘের দখল, মৎস্য লুটপাট ও লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করান। যা আদৌ সত্য নয়। বরং উল্টো একই মৌজার ৩১৯ খতিয়ানের ৩০৯ দাগের ০.২৫ শতক এতিমদের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ওই মৎস্যঘেরে কোন গলদার খামার নেই আর অন্য মাছ ও ছিলনা। সামান্য ওই জমির আয়ে নাবালকদের সংসার চলে। সাংবাদিক হাদী আমাদের কোন বক্তব্য ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করেন। যা খুবই দুঃখজনক ও মানহানিকর। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অপর ভুক্তভোগী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্মাপদ শেখ মোহাব্বত আলী জানান, এই দিনে দুইটি মৎস্য ঘের দখল কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে এমন অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। তিনি প্রকৃত জমির মালিক মোতাহার হোসেন, নুর ইসলাম ও তৈয়াবুর রহমানের নিকট থেকে ৬ একর জমি হারী দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য চাষ করে আসছেন। ঘেরের বাসা ভাংচুর ও লুটপাটের কোন প্রশ্নই আসে না। প্রতিপক্ষ আঃ মান্নান, বোরহান উদ্দিন, আলমগীর, জাহাঙ্গীর ও মনিরুলসহ আরও লোকজন ঘের দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা জমি পাবো। তবে সাংবাদিক হাদী বলেন, বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কারো বক্তব্য নিতে পারেননি। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের জোর অস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।