রামপালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকারি হিসাব মতে ৩ জন মারা গেলেও উপস্বর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে আরও ১৫-১৬ জনের। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে ডবল ডোজ টিকা নেওয়া এক স্বাস্থ্য কর্মীও রয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শনিবার ২৬ জনের নমুনা প্রেরন করে ৪ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, রামপাল উপজেলায় (জানুয়ারি – জুন ২০২১) এ পর্যন্ত ২৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৭৬ জনের শরীরে পজিটিভ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৩ জন্য মারা গেছেন। আক্রান্তের হার প্রায় ৩০.৪০ ভাগ। করোনা আক্রান্তের উর্ধগতি ঠেকাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকগণ আক্রান্তের চিকিৎসার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাক্তার সুকান্ত কুমার পাল। তিনি সাংবাদিকদের জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরলসভাবে রাতদিন কাজ কারছি। আমাদের সহযোগীতা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়াও ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি করে এর সাথে বাজার কমিটি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও সেচ্ছাসেবীদের সম্পৃক্ত করে করোনা রোধে কাজ করছি। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই মোবাইল কোর্টর মাধ্যমে জরিমানা ও বিভিন্ন ঘাটে পারাপার সীমিত করেছি। সরকারের লকডাউন কার্যকর রাখতে প্রান্তিক জন সাধারণকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কিন্ডারগার্টেন অসহায় শিক্ষকদের আর্থিক সহয়তা প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২০ হাজার মাস্ক ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ৮ হাজার দুস্ত, অসহায়, ভাসমান ও পঙ্গু মানুষকে খাদ্য সহয়তা প্রদান করা হয়েছে এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আরও একটি এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।