গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে মৃত্যু কমেছে। এ সময় মারা গেছেন আরও ১০ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ৯টার মধ্যে এই ১০ জন মারা যান। এর আগে মঙ্গলবার এই ইউনিটে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এর মধ্যে করোনায় তিনজন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে চারজন এবং করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন পাবনার তিনজন, রাজশাহী, নওগাঁ, এবং নাটোরের দুজন করে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন মারা গেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) হাসপাতালে করোনায় পাঁচজন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন এবং করোনা নেগেটিভ হয়ে দুজন মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে রাজশাহী, নওগাঁ ও পাবনার একজন করে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও পাবনা জেলার একজন করে চারজন। করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলার একজন করে তিনজন মারা গেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তিনজন মারা গেছেন হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) দুজন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন এবং ১, ১৫ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
এদিকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন রাজশাহীর ১৭৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩১ জন, নাটোরের ৫৯ জন, নওগাঁর ৩৩ জন, পাবনার ৫২ জন, কুষ্টিয়ার ৯ জন, চুয়াডাঙ্গার একজন, মেহেরপুরের চারজন এবং বগুড়ার একজনসহ মোট ৩৬৩ জন। ২০ শয্যার আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ২০ জন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ১৯২ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১০৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৬৬ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৭ জন।