স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন একটি অংশের নির্মাণ করা রাস্তা সাধারণ জনগণ ব্যবহার করতে গেলে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউনাইটেড গ্রুপের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় এলাকাবাসী এই অভিযোগ জানিয়েছেন খোদ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের কাছে।
রাস্তার বেড়া ভেঙে দিয়ে রাস্তাটি দ্বিধাহীনভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন মেয়র।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ডিএনসিসির পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এসময় ইউনাইটেড গ্রুপের দখল করা ওই সড়কটি মেয়রকে দেখিয়ে অভিযোগ জানান ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর আব্দুল মতিন।
আব্দুল মতিন এই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে মেয়রকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মাদানী এভিনিউ এবং সাঁতারকুলের মধ্যে এই বাইপাস সড়ক করা হয়। অত্র এলাকার সংসদ সদস্য এবং ইউনাইটেড গ্রুপের কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়েই এটি করা হয়। তখন আমি এখানকার চেয়ারম্যান (ইউনিয়ন পরিষদ) ছিলাম। এই সড়কের ফলে এখানকার লোকজন দুই এলাকার মধ্যে সহজে যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু এখন তারা (ইউনাইটেড গ্রুপ) সেই রাস্তা দখল করে আছেন। আমাদের মামলার ভয় দেখায়। সাধারণ মানুষদের যাতায়াত করতে দেয় না।
এসময়েই পাশ থেকে কিছু জনগণ মেয়রকে উদ্দেশ্য করে জানান যে, এই সড়ক ব্যবহার করতে গেলে ইউনাইটেড গ্রুপের লোকজন অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায়। সড়ক ব্যবহার করতে হলে টোকেন দেখাতে হয়।
কাউন্সিলর এবং জনগণের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনসিসি মেয়র তাৎক্ষণিকভাবে সড়কটির মুখে থাকা গেট ভেঙে দিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি কাউকে জিজ্ঞেস করে নির্বাচিত হইনি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে আর জনগণ নির্বাচিত করেছে। এসব দখল আমি মানবো না। যাদের কথা বলতে হবে তারা যেন এসে আমার সঙ্গে কথা বলে। আমি কথা বলতে কারও কাছে যেতে পারবো না। ইউনিমার্ট গ্রুপ যেটা করেছে এটাই সমস্যা, তারা শুধু নিজের কথা ভাবে; জনগণের কথা ভাবে না। রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে টোকেন লাগবে, অস্ত্র দেখাবে, মামলার ভয় দেখাবে; এগুলো হবে না।