টাইম স্কেল পাওয়া ৪৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলছেন, এ মামলাটি কোর্টে গেলে হারবে এটা জেনেও কিছু শিক্ষক নেতা রিটটি করেছেন। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২০১৩-২০১৪ সালে বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া (জাতীয়করণ) সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে
দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, যারা চাকরিতে আছেন তাদের টাকা দিতে সমস্যা না হলেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যেসব শিক্ষক এরইমধ্যে অবসরে ও মারা গেছেন তাদের টাকার কি হবে? এ মামলায় জয় পাওয়া যাবে না, তারপরও কেন হাইকোর্টে আসা হয়েছে তা নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সাধারণ শিক্ষকরা নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন।
গত ১৩ জানুয়ারি সারাদেশের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠির বিষয়ে দায়ের করা রিট মামলা তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় এই রুলের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জাতীয়করণ করা ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষককে টাইম স্কেলের এ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১২ আগস্ট বেসরকারি থেকে সরকারি হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইম স্কেল সুবিধা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা রিট করেন। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন।