চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে তৃতীয় দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রিমান্ডে অনেক অভিযোগের স্বীকারোক্তি মিলছে বলে দুদক সূত্রে গেছে। তবে অবৈধ সম্পদের হিসাব দিতে অনেকটা এলোমেলো বক্তব্য দিচ্ছেন লোকমান।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক টিম। নেতৃত্বে আছেন সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল।
এর আগ গত ১১ নভেম্বর থেকে তার সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সংস্থাটি।
গত ৩ নভেম্বর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম তার সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
গত ২৭ অক্টোবর ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে লোকমানের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুদক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পত্তির হিসাব আয়কর নথিতে দেখালেও অনুসন্ধানে তার ‘সুনির্দিষ্ট কোনো বৈধ আয়ের উৎস’ পাওয়া যায়নি।
এতে বলা হয়, আসামি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া তার আয়কর নথিতে ৭৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৬৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ ছাড়াও নিজ নামে ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে যৌথভাবে আরও দুই কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৪ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। কিন্তু তা তাদের আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি।
সেপ্টেম্বরের শেষে ঢাকার মতিঝিল এলাকার ওই ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দুটো রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমাণ কার্ড, ১১টি ওয়্যারলেস সেট ও ১০টি বিভিন্ন ধরনের চাকু পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর তেজগাঁওয়ের মণিপুরিপাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর পরপরই গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করে সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।
টিমের অপর সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।