চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ রূপসা খান জাহান আলী সেতু থেকে বাইপাস হয়ে রূপসা ফেরিঘাটে আসতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।রাতে চলাচলকারী পথযাএী সহ সকল যানবাহন চালকদের অভিযোগের অন্ত নেই। অপরদিকে সরকারি বিপুল অর্থে নির্মাণ করা রাস্তাটি ভঙ্গুরাকৃতিতে পরিণত হয়েছে।
একদিকে রূপসা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, অন্যদিকে মেইন রাস্তার উপর বালি উত্তোলন করা পাইপ রাখার ঘটনায় ভারী যান এবং অসহায় ও হতদরিদ্র ভ্যানচালকরা যাত্রী নিয়ে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, পূর্ব রূপসা বাগমারা রবের মোড় থেকে শুরু করে রূপসা ব্রীজ পর্যন্ত ৫/৬ টি স্থানে মেইন রাস্তার উপর বালি উত্তোলনের পাইপ রেখে তার উপর মাটি দিয়ে উঁচু করে ড্রেজার ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা বহাল তবিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটি খানা খন্দকে পরিনত হলেও আবার ড্রেজার পাইপ রাখার কারনে ওই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ ভ্যান এবং বিভিন্ন ধরনের ভারী যান চলাচলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অনেক ভ্যান চালকরা আবার রোজা রেখে যাত্রী নিয়ে অতিকষ্টে যাতায়াত করছে। এ রাস্তাটি পাকা হলেও বিভিন্ন ভারী যান চলাচল এবং ব্রীজ সংলগ্ন বালির ভারী গাড়ি চলাচল করার ফলে রাস্তাটি খানা খন্দকে পরিনত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে অতি জরুরী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী ও হতদরিদ্র অসহায় ভ্যানচালকরা। এ বিষয়ে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হতদরিদ্র ও অসহায় ভ্যানচালক বাগমারা গ্রামের আবু হানিফ (৪৫) বলেন, ড্রেজারের পাইপের কারনে যাতায়াতের সময় খুব সমস্যা হয়, ড্রেজারের বিট গুলোতে যাত্রী নিয়ে ওঠা নামায় ঝুঁকি এবং ভ্যানের সামনের ফর্ক, চাকার লক ভেঙ্গে যায় এবং আমাদের খুব কষ্ট হয়। বালি উত্তোলন পাইপ ভেঙ্গে ফেলা জরুরী। ভ্যান চালক, বিল্লাল হাওলাদার (৩৫) জানান, পূর্ব রূপসা ঘাট থেকে ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা এবং ড্রেজার পাইপের বিটে আমাদের ভ্যানে করে যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের সমস্যা হয়। তাছাড়া রাস্তায় পাইপ রাখার কারনে পানি বেধে যাওয়ার কারনে খানা খন্দকে পড়ে চাকার রড ভেঙ্গে যায়। একইভাবে চর রূপসা বালুর মাঠ এলাকার মোঃ মোজাম্মেল সানা (৬৫) বলেন, ড্রেজার পাইপের বিট থাকার কারনে যাতায়াতের খুব সমস্যা হয়, পাইপের বিটের কারনে যাত্রী বোঝাই ভ্যানের ফর্ক এক্সেল ভেঙ্গে যায়। অতি জরুরীভাবে ড্রেজার পাইপের বিট ভেঙ্গে দেওয়ার দাবী জানান।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার বলেন, কেউ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করতে পারবেনা, এটা অবৈধ কাজ। তাদের সাথে কয়েকবার কথাও হয়েছে এবং এ বিষয়ে মিটিংও হয়েছে। এমনকি রাস্তার উপরে পাইপ কয়েকটা ভেঙ্গেও দেওয়া হয়েছিলো। এ ঘটনায় ইতোপূর্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো, তবে তারা যদি নিয়ম ভঙ্গ করে পূনরায় করে তাহলে আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।