অনলাইন ডেস্কঃরাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনু হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত মোছা. রিয়া বেগম ওরফে ময়নাকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বাড্ডা থানার সাঁতারকুল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বাড্ডা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) রিয়া বেগমকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে বাড্ডা থানা পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান।এ ঘটনায় এর আগে নারায়ণগঞ্জ, বাড্ডা ও উত্তর বাড্ডা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করে বাড্ডা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
ছেলেধরা সন্দেহে তাছলিমা বেগম রেনুকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত হৃদয় গ্রেফতারের পর মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে জানায়, ঘটনার দিন রেনু স্কুলে প্রবেশ করার সময় গেটে থাকা অন্য এক নারী অভিভাবক তার পরিচয় এবং বাসার ঠিকানা জানতে চান। এর প্রেক্ষিতে রেনু ওই নারীকে তার নাম-ঠিকানা জানান। সে সময় ওই নারী রেনুকে দেখিয়ে ছেলেধরা বলে চিৎকার করেন।
এর মধ্যে রেনুকে স্কুলের একটি কক্ষে বন্দি করা হয়। ছেলেধরার খবরটি দ্রুত খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু কাছে বাজার তাই মুহূর্তে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়। এদের মধ্যে উৎসুক কিছু জনতা স্কুলের ভেতরে থেকে রেনুকে বের করে গণপিটুনি দেয়। হৃদয়ও তাদের সঙ্গে অংশ নেয়। পুলিশ বলছে, গণপিটুনিতে হৃদয়সহ অন্যদের প্ররোচণা দিয়েছিল রিয়া।
গত ২০ জুলাই সকালে উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে (৪০) পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনার দিন তাসলিমা তার সন্তানের ভর্তির ব্যাপারে স্কুলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিভাবক রিয়া বেগমকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করেন। এক পর্যায়ে তিনি রেনুর বাসার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। এতে রিয়া বেগম সন্দেহ করে তাসলিমাকে ছেলেধরা বলে চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে অতি উৎসাহী জনতা তসলিমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।