আন্তর্জাতিক ডেস্কঃমধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত দেশ লেবাননে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগের পরও দেশটিতে নিরপেক্ষ সরকার গঠনে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই অভিযোগ করেছে সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন হিজবুল্লাহ। তাদের দাবি, লেবাননের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে একের পর এক হস্তক্ষেপ করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এ দিকে শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইরান সমর্থিত সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির উপপ্রধান শেখ নাঈম কাসেম ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্সকে’ একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, ‘লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। শেখ নাঈম কাসেম বলেছেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন এখানে তাদের অনুগত একটি সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। যদিও আমরা চাই এদেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিতামূলক একটি সরকার গঠিত হোক।’
সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহ নেতা আরও বলেন, ‘লেবাননের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। তাই যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে তাদের এ ধরনের হস্তক্ষেপমূলক তৎপরতা বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।অপর দিকে প্রায় দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) লেবাননের পার্লামেন্ট অধিবেশন আয়োজন করা হয়। যদিও তখন একদল বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবন আটকে রেখে সংসদ সদস্যদের সেখানে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হলে পার্লামেন্ট অধিবেশন আবারও মুলতবি ঘোষণা করা হয়।