বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের শরণখোলায় সেনাবাহিনীর তত্ত¡াবধানে নির্মানাধীন বেড়িবাঁধের ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করেছেন ৭পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এনডিসি পিএসসি।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত গাবতলা ও বগী এলাকা ঘুরে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন এবং বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ২০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন ।
পরিদর্শনকালে তার সাথে ২৮ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আল মাসুম, মেজর মোঃ সাদেকিন, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্ব ব্য্ংাকের অর্থায়নে উপক‚ল রক্ষা প্রকল্পের(সিআরপি) আওতায় নির্মানাধীন বেড়িবাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার গত ২০মে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যায়। এতে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতশত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শরণখোলায় আসেন এবং এলাকাবাসীর ক্ষয়ক্ষতি লাগবে দ্রæত বাঁধ নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন।
এরপর গত ৫ জুন সেনাবাহিনীর ২৮ পদাতিক ব্রিগেডের তত্ত¡াবধানে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭০০ মিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। তারা গত এক মাসের মধ্যে বাঁধের বিভিন্ন স্থানে বল্লি, ড্রামশিড ও জিওব্যাগ দিয়ে ঝুকিমুক্ত করেন। ৮কোটি টাকা ব্যয়ে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ নির্মাণে চারটি প্যাকেজের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে বাঁধ সংলগ্ন গ্রামবাসী আঃ খালেক, জাহাঙ্গীর ফরাজী, জাকারিয়া সরদার বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে থেকে চায়নার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠনের মাধ্যমে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হলেও তারা আমাদের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় কোন কাজ করেনি। যার কারণে বাঁধের এই অংশ প্রতিবছর ভেঙ্গে আমাদের বাড়ি-ঘর নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। সেনাবাহিনী দ্রæততার সাথে কাজ করায় তারা সস্তি ফিরে পান।