বিএনপির ঘোষিত কর্মসূচির দিনে তথাকথিত শান্তি সমাবেশের নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে রাজনীতিকে সংঘাতপূর্ণ ও রক্তপাতমুখী করার অপচেষ্টা থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে শান্তি সমাবেশের নামে বল প্রয়োগের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি কর্মসূচি দিলেই সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেয়া হয়। বিরোধীদল যে সময় যে জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করে ঠিক সেই জায়গায় ওই সময় তারা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এত বড় স্বৈরাচারী ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মহানগর বিএনপির পদযাত্রা সফল করতে খুলনা সদর থানার প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বদরুল আনাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় তুহিন আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখতে শুরু করেছে। দেশে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভিক্ষের অবস্থা। জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ধনী-গরিবের বৈষম্য। অথচ সরকার উন্নয়নের ঢেকুর তুলছে। গলা উঁচিয়ে বলছে, দেশ এখন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারির পদযাত্রা কর্মসুচি সফল করতে সদর থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধাভাবে রাজপথে থাকার আহবান জানিয়েছেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির নেতা একরামুল হক হেলাল, বেগ তানভীরুল আযম, আব্দুর রাজ্জাক, কে এম হুমায়ুন কবির, নাজির উদ্দিন নান্নু, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, মিজানুর রহমান মিলটন, সামছুল বারিক পান্না, কে এম মাহবুবুল আলম, শহীদ খান, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, মাবুব উল্লাহ শামীম, একেএম সেলিম, মেশকাত আলী, ঢালী মো. সালাউদ্দিন, দিপু প্রধান, এস এম নুরুল আলম দিপু, হোসেন সানা, মফিজুল ইসলাম, মাসুদ খান, নুর ইসলাম প্রমূখ।