চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ শার্শায় আওয়ামী লীগের গ্রাম কমিটিতে জামায়াত-বিএনপি সম্পৃক্ত হওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। দলের কার্যক্রম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দলের নিবেদিতরা।
সম্প্রতি শার্শার প্রতিটি ওয়ার্ড ও গ্রামে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠনের জন্য সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ স্থলেই গ্রাম কমিটি ঘোষণা করা হলেও ওয়ার্ড কমিটির তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। যাচাই-বাছায়ের পর কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সমাবেশেই জানিয়েছিলেন।
একাধিক অভিযোগে জানা যায়, শার্শা সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন বুরুজ বাগান গ্রাম আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে তৃণমূলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, এ কমিটিতে অধিকাংশ জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীরা পদায়ন পেয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের ভিতরের ষড়যন্ত্রকারীরাও এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে। পোড় খাওয়া ও দুর্দীনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা বাদ পড়েছে। এর ফলে দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে জামায়াত নেতা আজিজুর রহমান ও বিএনপি নেতা আবু জাফরের মতো অনেকে। তারা জানান, ২০০৮-এর সংসদ নির্বাচনে জামায়াত নেতা আজিজুর রহমান প্রকাশ্যে জামায়াত বিএনপি জোটের পক্ষে প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছে। আজিজুর রহমান এখন দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রাম আওয়ামী লীগের কমিটির সিনিয়র সদস্য। একই সাথে বিএনপি নেতা আবু জাফরও অংশ নেয়। গত ইউপি নির্বাচনে বিএনপি নেতা আবু জাফর স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অংশ নেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর আবু জাফর আওয়ামী লীগের নেতা বনে যান। বিএনপি নেতা আবু জাফর এখন দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রাম আওয়ামী লীগের কমিটির দপ্তর সম্পাদক। তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রাম আওয়ামী লীগে ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।
এ ছাড়া বিএনপি কর্মী আলমগীর হোসেনও ঠাঁই পেয়েছে কমিটিতে। শুধু কমিটিতে ঠাই-ই নয়, তিনি দরীদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত সরকারী বিভিন্ন অনুদানও ভোগ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। বিএনপি কর্মী আলমগীর হোসেন দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রাম আওয়ামী লীগের বন ও পরিবিশ বিষয়ক সম্পাদক।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলী মড়োলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াত নেতা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এগুলো পতনের লক্ষণ।
প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার জানান, গ্রাম কমিটিতে জামায়াত বিএনপি সম্পৃক্ত করা অশুভ সংকেত। ২০০৮ এর নির্বাচনের আগে এরা ছিল আওয়ামী লীগের জন্য অভিশাপ। এদের কারণে এ গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কোন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেনি।