চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃস্কুলে শিক্ষকদের অনিয়মিত যাতায়াত এবং পাঠদানে অবহেলার প্রতিবাদে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। হট্টগোলের একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন স্কুলের সভাপতি আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, ‘টিও, এটিও, প্রতিমন্ত্রী সকলকে এ স্কুলের দুর্দশার কথা বলেছি। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছি। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।’
জানা গেছে, ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এছাড়া শিক্ষক রয়েছেন ৬জন। এদের মধ্যে মাহফুজা বেগম ও শিউলি আক্তার নামের দুজন শিক্ষক রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ওইদিন ১১টার পর কাকলী পারভীন ও ফেরদৌসি জাহান নামের দুজন স্কুলে উপস্থিত হন। প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান ছিলেন মাসিক সমন্বয় সভায় ও সহকারী শিক্ষক আফজাল হোসেন রয়েছেন ইউআরসি ট্রেনিংয়ে।
আল আমিন নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘এ স্কুলে কোনো শিক্ষকই সময়মতো আসেন না। পড়াশোনাও ঠিকমত হয় না। দুপুরের দিকে তারা আসেন এবং দুপুরের পরপরই চলে যান। খোদ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এলাকাতেই যদি প্রাথমিক স্কুলের এমন হাল হয়, তাহলে আমরা কার কাছে যাব?’
স্কুলে গ্রামবাসীর তালা ঝোলানোর বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুজন শিক্ষক রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। আমি এবং একজন সহকারী শিক্ষক ট্রেনিংয়ে থাকায় আজ কাকলী ও ফেরদৌসিকে যথাসময়ে স্কুলে আসার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা সময়মতো স্কুলে আসেননি। তাই এলাকাবাসী স্কুলে তালা ঝুলিয়েছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয় আমাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ‘স্কুলে তালা ঝোলানোর বিষয়টি জানতে পেরেছি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।