চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন,’শুধু ভর্তি বাণিজ্য নয়, শিক্ষায় কোনো প্রকার দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। ভর্তি বাণিজ্যে যারা যুক্ত হবেন, তাদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।’ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নিষ্পাপ শিশুদেরকে ভর্তি বাণিজ্যের মতো পাপ স্পর্শ করুক, তা আমরা চাই না। তাদের শিক্ষাজীবন দুর্নীতি দিয়ে শুরু হতে পারে না। কোচিং ও নোট-গাইড বাণিজ্য বন্ধে কমিশন আরো সক্রিয় হবে। এসবের মাধ্যমে যে বা যারা অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছেন তাদের বিষয়ে খতিয়ে দেখবে কমিশন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বালিশ কাণ্ডের মূল হোতা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানকে কোনো মামলার আসামি করা হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা হয়তো আগত আসামি সম্পর্কে ধারণা রাখেন। কারো নাম এখনো মামলায় আসেনি বলে যে ভবিষ্যতে আসবে না, এমন নয়। মামলাগুলো এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরকে আগত আসামি হিসেবে চার্জশিটভুক্ত করা হবে
প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আপনারা তো দেখছেন, অতি দ্রুত অনুসন্ধান করে এসব মামলা দায়ের করা হচ্ছে। প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি দমনে কমিশন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। মেগা প্রকল্পে কমিশনের নজরদারি আছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুর্নীতির ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ আছে কি না, জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। দুর্নীতির তথ্য পেলেই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সাংবাদিকদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা তথ্য দিন, আমরা বিষয়টা দেখব।
দুদকের দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। মহামান্য আদালত যা ভালো মনে করেছেন, তাই করেছেন। সেখানে আসলে আমাদের বলার কিছু নেই।