ঈদুল ফিতর উপলে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে পারের অপোয় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ বাড়ছে। এছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোটেও যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। একটি ফেরি ঘাটে ফিরলেই ঘরমুখো শত শত মানুষ ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।
এদিকে তীব্র গরমে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপো করতে হচ্ছে নাড়ির টানে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়া মানুষ। এ নৌপথে ফেরিতে ভাড়ি যানবাহন পারাপার নিষিদ্ধ থাকায় হালকা যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে দণি-পশ্চিম বঙ্গের ২১ জেলার মানুষ যাত্রা শুরু করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ১০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকে ফেরিতে পারাপারের অপোয় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, নৌপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। লঞ্চ ও স্পিডবোটে বিপুলসংখ্যক যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত এবং লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত।