খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আজকের শিশুই আগামী দিনে দেশ ও জাতির কর্ণধার। সরকার শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করে চলছে। শিশুর সুরক্ষার দায়িত্ব অভিভাবকসহ সকলের।
আজ (রবিবার) সকালে নগরীর ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর শরীরিকভাবে সুস্থ না থাকলে লেখাপড়ায় মন বসে না। কৃমির কারণে শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগে এবং মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এটি প্রতিরোধ করতে হলে খাবার গ্রহণের আগে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করা, খাবার ঢেকে রাখা, স্যান্ডেল পায়ে টয়লেটে যাওয়া এবং পরে ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসি’র প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন। এসময় বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার খো. রুহুল আমিন, ইউনিসেফের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাজমুল আহসান প্রমুখ বক্তৃতা করেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন এতে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত জানান কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার।
এবছর খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪৯৮টি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫-১২ বছর বয়সী ৯৩ হাজার ৮৭২ শিক্ষার্থী এবং ৯৩টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২-১৬ বছর বয়সী ৫৫ হাজার ৮৯৮জন শিক্ষার্থীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলার নয়টি উপজেলায় দুই হাজার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫-১৬ বছর বয়সী তিন লাখ ৮৪ হাজার ৭১২ জন শিক্ষার্থীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ মার্চ থেকে শুরু হয়ে সপ্তাহব্যাপী শিশুদের বিনামূল্যে কৃমি নাশক ট্যাবলেট (মেবেন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে।
পরে মেয়র ইসলামাবাদ কলেজিয়েট স্কুল চত্বরে স্বাধীনতা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।