তথ্যবিবরণীঃ শিশুবান্ধব শিখন ও বিনোদন কেন্দ্রের ১৩৫ শিশু নেচে-গেয়ে, কেক কেটে তাদের জন্মদিন উদযাপন করলো। জীবনের দু:স্বপ্ন অতিক্রম করে আসা এই শিশুরা আনন্দের প্রাণোচ্ছ্বল উৎসবে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরলো। এই সকল শিশুরাই এক সময় শ্রমে নিযুক্ত বা নিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কায় ছিলো। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজেন আজ (বুধবার) সকালে খুলনা নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারের উৎসবে শিশুদের অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
অতীতে বাজারে মাছ কাটার কাজে নিয়োজিত শিশু বৃষ্টি বা ইয়াছিন কেবল নাচেই দক্ষ নয়, লেখাপড়ার পড়ার পাশাপাশি বিতর্ক ও ভলিবল প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভে সক্ষম হয়েছে। তাদের স্বপ্ন ফুটে ওঠে তাদের অভিব্যক্তির মাঝে। বঞ্চনার বদলে তাদের চোখে আজ সম্ভাবনার বাংলাদেশে বড় হয়ে ওঠার প্রত্যয়। কেউ বড় হয়ে শিক্ষক হতে চায়, কেউ আবার পুলিশ। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের আনন্দ বিনোদনের পাশাপাশি সুস্থ্য সাংস্কৃতিক চর্চা ও বিকাশের প্রতিফলন দেখা যায় অনুষ্ঠানে।
উৎসবে প্রধান অতিথি খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের কর্ণধার আজকের শিশুদের বর্ণিল শৈশব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শ্রম হতে মুক্ত হয়ে নতুন জীবন পাওয়া শিশুদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে জীবনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকতে পারে না। সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের স্বপ্ন শিশুদের মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হবে। সন্তানদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা অপরিহার্য।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাউদার্ন রিজিওনাল ফিল্ড ডাইরেক্টর লিমা হান্না দারির সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী।
অনুষ্ঠানে শিশুরা তাদের তৈরি উপহার অতিথিদের হাতে তুলে দেয় এবং অতিথিরা শিশুদের উপহার প্রদান করেন। এসময় সুবিধা বঞ্চিত শিশু ও তাদের অভিভাবক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিশু শিখন ও বিনোদন কেন্দ্রের কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।