চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃশীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো যাবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সাংসদ বেনজীর আহমদের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু করার জন্য আমি এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনবার দেশটির মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করেছি। সবশেষ গত বছরের ৫ থেকে ৮ নভেম্বর সচিবসহ একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক সভা করেছি। বৈঠকে ন্যূনতম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ, উভয় দেশের রিক্রুটিং এজেন্সির সম্পৃক্তদের পরিধি, মেডিকেল পরীক্ষা এবং কর্মীর সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা এবং ডাটা শেয়ারিং বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হওয়ার আশা প্রকাশ করছি।
মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ থেকে আপাতত কর্মী নেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৭৩টি দেশে কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমিক পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। একবছরের ব্যবধানে শ্রমিক পাঠানোর পরিমাণ বৃদ্ধিও পেয়েছে। বর্তমানে সৌদি আরবে ৩ লাখ ৯৯ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। এছাড়াও কাতারে ৫০ হাজার ২৯২ জন, কুয়েতে ১২ হাজার ২৯৯ জন, ওমানে ৭২ হাজার ৬৫৪ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ হাজার ৩১৮ জন ও বাহরাইনে ১৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছেন।
এছাড়াও সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের উত্তরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বিদেশে কর্মী প্রেরণে প্রতারণা ও প্রতারণার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে অনধিক ৫ বছর এবং অনূন্য এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে অপরাধের মাত্রা ভেদে সাজা ১০ বছর হয়।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার ২৫৪ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। একই সময়ে এসব কর্মীরা ১৫৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।